রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজা ছাড়ছেন বিদেশিরা

আন্তর্জাতিক

বহু আলোচনার পর বুধবার শেষপর্যন্ত খুলে দেওয়া হয় রাফাহ সীমান্ত। আগে এই সীমান্ত দিয়ে গাজায় মানবিক সাহায্য পাঠানো হলেও বেসামরিক মানুষকে সীমান্ত পার করে মিশরে যেতে দেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) গাজার শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল হামলা চালানোর পর বুধবার ওই সীমান্ত বেসামরিক মানুষের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইসরায়েল। তবে সকলে সীমান্ত পার করতে পারছেন না। বিদেশি নাগরিক এবং গাজার আহত বেসামরিক মানুষদেরই কেবল মিশরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে।

গাজায় আটকে পড়া জার্মান নাগরিকদের একটি বড় দল বুধবার রাফাহ সীমান্ত পার করে মিশরে প্রবেশ করেছে। কায়রোয় জার্মান দূতাবাসের কর্মীরা সীমান্তে গিয়ে জার্মান নাগরিকদের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন। তবে কতজন জার্মান নাগরিক সীমান্ত পার করেছেন তার কোনো সংখ্যা জার্মান দূতাবাসের কর্মীরা সংবাদমাধ্যমকে দেননি। হামাসের হাতে পণবন্দি কোনও জার্মান নাগরিককেও বুধবার ছাড়া হয়নি। তবে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে লাগাতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতির আবেদন জানিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। এবার দুই রাষ্ট্রের তত্ত্বকে সমর্থন করে বিবৃতি দিলেন তিনি। পোপের বক্তব্য, চলতি সংঘাত এড়াতে গেলে দুই রাষ্ট্রের পরিকল্পনা করতেই হবে। নইলে কোনো পক্ষকেই শান্ত রাখা যাবে না। তবে জেরুজালেমকে বিশেষ স্ট্যাটাস বা গুরুত্ব দিয়ে এই দুই রাষ্ট্র থেকে আলাদা রাখার কথা বলেছেন তিনি।

ইটালির এক টেলিভিশন চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় স্পষ্ট করে নিজের অভিমত প্রকাশ করেছেন পোপ। তার মতে ওসলো অ্যাকর্ড মেনে দুই দেশ তৈরির সময় এসে গেছে। একমাত্র এই উপায়েই সাম্প্রতিক সংঘাত রুখে দেওয়া সম্ভব।

দুইটি বিষয় নিয়ে বিশেষ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোপ। এক, চলতি সংঘাতে বহু বেসামরিক প্রাণ যাচ্ছে। ৭ অক্টোবরের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। অন্যদিকে, বিশ্বজুড়ে অ্যান্টিসিমেসিজম বা ইহুদিবিরোধী বিদ্বেষ নতুন করে জন্ম নিচ্ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। দ্রুত এর সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং আরব আমিরাতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী যুবরাজ খালিদ বিন সালমান আল সৌদ মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন। ওয়াশিংটনে গিয়ে যুবরাজ খালিদ বৈঠক করেছেন ব্লিংকেনের সঙ্গে। মধ্য প্রাচ্যে কীভাবে শান্তি ফেরানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকের পর দুইজনই জানিয়েছেন, শুক্রবার তারা একত্রে ইসরায়েল যেতে পারেন। সংঘাত শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ইসরায়েল যাচ্ছেন ব্লিংকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *