হারের বৃত্ত ভাঙতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-পাকিস্তান

খেলাধুলা

চলতি বিশ্বকাপ থেকে ইতিমধ্যে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচ খেলে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নয় নম্বরে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। গেল ম্যাচে নেদারল্যান্ডের কাছে ৮৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পর দলের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে। তবে বিশ্বকাপে বাকি ম্যাচগুলোতে ঘুরে দাঁড়াতে চায় লাল-সবুজরা। দলের এমন বাজে অসহায় আত্মসমাপনে ক্ষুব্ধ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও।

উপমহাদেশে বিশ্বকাপ বলে বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশেল বড় স্বপ্ন ছিল। তবে বাংলাদেশের বাজে পারফরমেন্সে হতাশ ভক্তরা। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সব কিছুতেই যেন ছন্নছাড়া টাইগাররা। গেল ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে চারটি ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশ। সেই ক্যাচগুলো মিস হওয়ার কারণে বাংলাদেশ হেরেছে বলে অনেকে মনে করেন। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের পর বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের এখন লক্ষ্য বিশ্বকাপে পয়েন্ট টেবিলে সাত নম্বরে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করা। আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বকাপে প্রথম সাত দল অংশগ্রহণ করতে পারবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। সেই লক্ষ্যে এখন এগোচ্ছে বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, ‘পুরো বিশ্বকাপে আমরা বাজে খেলেছি এমনকি আমরা আমাদের দর্শকদের হতাশ করেছি। আমরা চাই শেষ সাতে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করতে।’

অপর দিকে ফেবারিট হিসেবে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে আসে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ নেদারল্যান্ডস এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে পাকিস্তান। এরপর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হারের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি তারা। নিজেদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাবর আজমদের। নিজেদের ভুলে এবং আম্পিয়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে শেষ মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ উইকেটে হারে পাকিস্তান।

ছয় ম্যাচে চার হার নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের ছয় নম্বরে অবস্থান করছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাবর আজমদের সামনে। তাই এই ম্যাচে জয় পেতে মরিয়া গ্রীন আর্মিরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নেমেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় তারা। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মাঠে নামবে এই দুই দল।

এদিকে এখন পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটে মোট ৩৮ বার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এসব দেখায় টাইগারদের থেকে বেশ এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তানিরা। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে টাইগারদের বিপক্ষে তাদের জয় ৩৩টিতে । অপর দিকে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৫টিতে। তবে বিশ্বকাপে দুই দলের লড়াই হয় সমানে সমান। এখন পর্যন্ত একদিনের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দুই বার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তান। দুই বারের দেখায় একটি করে জয় দুই দলের।

বিশ্বকাপে ১৯৯৯ সালে প্রথম বার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-পাকিস্তান। সেই ম্যাচে শাহরিয়ার হোসেন ও আকরাম খানের ব্যাটিংয়ে লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় টাইগাররা। পরে বর্তমান টাইগাদের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের বোলিং কল্যাণে ৬২ রানে জয় পায় বাংলাদেশ। এরপর এই টুর্নামেন্টে আবার মুখোমুখি হয় গেল আসরে। এই আসরে অবশ্য ৯৪ রানে হেরেছেন টাইগাররা। এছাড়া ওয়ানডে ফরম্যাটে সবশেষ এই দুই দল মুখোমুখি হয় গেল সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়া কাপের সুপার ফোরে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারায় পাকিস্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *