অবরুদ্ধ গাজায় সোমবার রাতভর হামলা চালিয়ে অন্তত ১৪০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৭ জনে।মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, রাতভর দখলদার ইসরায়েলের অভিযানে ১৪০ জন শহীদ হয়েছে। খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বর্তমানে ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩৬ জন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে ১৮২ শিশু। এ নিয়ে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ হাজার ৮৭ জন হয়েছে। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫ শিশু। নারী ১ হাজার ১১৯ জন, প্রবীণ ২১৭ জন। আহত হয়েছে ১৫ হাজার ২৭৩ জন।
এর আগে বেসরকারি দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানায়, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রতি ১৫ মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। মানবিক সংকটের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে গাজায় হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। এ সময় ইসরায়েলে ১৪০০ জন নিহতের দাবি করা হয় এবং দুই শতাধিক লোককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে আসা হয়। এরপরই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে নেতানিয়াহু প্রশাসন। ইসরায়েলি হামলায় অবরোধের মধ্যে থাকা অঞ্চলে হাজার হাজার ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে এবং দশ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। পানি, খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাসিন্দারা।
গাজার চারদিকে শুধু হাহাকার আর আহাজারি। জ্বালানি না থাকায় ও হামলার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি হাসপাতাল। মরদেহ রাখার জন্য নেই পর্যাপ্ত বডিব্যাগ। মিলছে না সামান্য কাফনের কাপড়ও। পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ যে তা বর্ণনাতীত। গাজায় এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বোমা হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। উপত্যকাজুড়ে আহতদের চিকিৎসার জন্য জরুরি রক্ত সহায়তা দরকার বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার ত্রাণবাহী গাড়ির তৃতীয় বহর রাফাহ সীমান্ত দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। মিশর ও ফিলিস্তিনের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ১২টির বেশি লরি গতকাল রাফাহ অতিক্রম করে। এর আগের দুই দিনে ত্রাণবাহী ৩৪টি ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে।