উদ্বোধনী ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপের শুভারম্ভ করে নিউজিল্যান্ড। অমন জয়ের পর যে কোনো দলই নিউজিল্যান্ডের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর কথা নয়। আর প্রতিপক্ষ যদি হয় নেদারল্যান্ডসের মতো দল, তাহলে চোখ বন্ধ করে জয়ের কথা ভাবতে পারে নিউজিল্যান্ড।
আজ সেই ডাচদের বিপক্ষে হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলতে নামবে।
নেদারল্যান্ডসের বিশ্বকাপ মিশন এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল তারা। শুরুটা ভালো করলেও সেই ম্যাচে ৮১ রানের বড় পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচটি তাই ডাচদের নতুন করে শুরু করার, ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন।
ডাচদের জন্য সুসংবাদ রয়েছে দুটি। হায়দ্রাবাদের এই মাঠেই নিজেদের প্রথম ম্যাচটি খেলেছে তারা। এছাড়া এই ম্যাচেও কেইন উইলিয়ামসনের খেলা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন কিউই কোচ গ্যারি স্টেড। তবে টিম সাউদি এবং লকি ফার্গুসন ম্যাচফিট থাকায় পূর্ণশক্তির পেস অ্যাটাক পাবে কিউইরা।
কেইন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ম্যাচে একাদশের পাশাপাশি তিনে ব্যাট করার সুযোগ পান রাচিন রবীন্দ্র। বিশ্বকাপ অভিষেকের ম্যাচে অনবদ্য সেঞ্চুরি তুলে সেই সুযোগের প্রতিদান দেন তিনি। তার ১২৩ ও ডেভন কনওয়ের ১৫২ রানে অনায়াসে জয় পায় কিউইরা। ২১১ বলে ২৭৩ রানের জুটি গড়ে অপরাজিত থাকেন দুজনই।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে ডাচদের সেরা পারফর্মার ছিলেন অলরাউন্ডার বাস ডি লিডি। বোলিংয়ে ৯ ওভারে ৬২ রান খরচায় ৮ উইকেট শিকারের পর ব্যাট হাতেও ৬৮ বলে ৬৭ রানের সুন্দর একটি ইনিংস খেলেন। ডাচ ওপেনার বিক্রমজিত সিংও ফিফটি তুলে নেন।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে চারবার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রত্যেকবারই জয় পেয়েছে কিউইরা। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচটি ছিল ১৯৯৬ বিশ্বকাপ আসরে। ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ১১৯ রানে জয় পায়। ২৬ বছর পর তিন ম্যাচ সিরিজে দুই দল মুখোমুখি হয় গত বছর। ম্যাচগুলো কিউরা জেতে ৭ উইকেট, ১১৮ রান ও ১১৫ রানের ব্যবধানে।