কানাডা-ভারত দ্বন্দ্বের বিষয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেছেন, হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সম্প্রতি যে অভিযোগ তুলেছেন, তাতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই ইস্যুতে কানাডায় তদন্ত চলছে এবং তাতে ভারতেরও অংশ নেওয়া জরুরি। আমরা জবাবদিহিতা দেখতে চাই।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্লিনকেন বলেন, আমরা কানাডার সরকারের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। এই যোগাযোগ কেবল আলোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এই ইস্যুতে শুরু হওয়া তদন্তের সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও আমরা কানাডাকে সহযোগিতা করছি।

১৯৭৭ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের জলন্ধর থেকে কানাডায় গিয়েছিলেন হরদীপ সিং নিজ্জর। পরে সেই দেশের নাগরিকত্ব অর্জন করেন তিনি। ৪৫ বছর বয়সী হরদীপ সিং ভারতের খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী খালিস্তান টাইগার ফোর্স এবং শিখস ফর জাস্টিস কানাডা শাখার শীর্ষ নেতা ছিলেন। গত ১৮ জুন দেশটির ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের রাজধানী ভ্যানকুভারের একটি গুরুদুয়ারার সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

এই হত্যার জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, এই অভিযোগের পক্ষে প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রমাণ তার কাছে রয়েছে।

তার এই বক্তব্যের পর থেকে কানাডা ও ভারতের মধ্যে শুরু হয়েছে টানাপোড়েন। গত কয়েক দিনে তলানিতে ঠেকেছে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক। কারণ, ভারতের অভিযোগ- কানাডা সুনির্দিষ্টভাবে এ সম্পর্কিত কোনো তথ্য প্রদান করেনি। জাস্টিন ট্রুডোর অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলেও উল্লেখ করেছে করেছে ভারত।

তবে, দুই দেশের এই দ্বন্দ্ব নিয়ে প্রথম দিকে চুপ থাকলেই এবার এ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *