স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) কোনো ষড়যন্ত্র ও পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই জনগণের ভালোবাসা। আবারও নির্বাচন আসবে। সারাদেশেই একটাই আওয়াজ শেখ হাসিনার বিকল্প নাই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কভিডের সময় প্রধানমন্ত্রী কিভাবে সহযোগিতা করেছেন। তিনি শুধু আমাদের নেতা নন। তিনি বিশ্বের নন্দিত নেতা। কখনও তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি কখনও তিনি ভ্যাকসিন হিরো। তিনি এদেশের জনগণকে ভালোবাসেন বলেই আমরা এ জায়গায় আসতে পেরেছি।
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করেন। তাহাজ্জুদ পড়েন। ফজরের নামাজ পড়ে কাজ শুরু করেন। অন্য ধর্মের প্রতি রয়েছে তার অগাধ বিশ্বাস। সবাইকে তিনি আগলে রাখেন। আমাদের অঙ্গীকার ছিল কাউকে গৃহহীন থাকতে দিবো না। আমরা গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছি। কাউকে না খেয়ে মরতে হবে না।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ১৫ বছর আগে হতদরিদ্রের মিছিল ছিল। সবাই ঢাকা চলে আসতো। এখন কিন্তু দাওয়াত দিয়েও খাওয়ানো যায় না। আমরা যখন ক্ষমতায় আসছি তখন ২৮ পার্সেন্ট ছিল হতদরিদ্রের সংখ্যা। এখন ৫ পার্সেন্ট। ২০৪০ সালে আমরা জিরোতে নিয়ে আসবো এ আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা এগিয়ে যেতে হলে সবার সহযোগিতা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৈহিত্র আইসিটি সেক্টরকে উপড়ে নিয়ে আসছেন। সেখানেও বিস্ফোরণ ঘটছে। বিরাট সম্ভবনার জায়গায় চলে আসছে আইসিটি খাত। এটিই হলো দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই হাসছিলেন। আজকে কোথায় নিয়ে গেছে আমাদের দেশকে।
বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি সেলিম ওসমানের এমপির সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি এম এ হাতেম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতারা।