আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করল সরকার

বাংলাদেশ

প্রথমবারের মতো তিন কৃষিপণ্য আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে কি না, তা মনিটরিং করার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করবেন। আইন অনুযায়ী দায়ীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভার সিদ্ধান্তগুলো অবগতির লক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের আলোকে আলুর সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫-৩৬ টাকা, দেশি পেঁয়াজের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৬৪-৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী প্রতিটি ডিমের মূল্য ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্যাকেটজাত সোয়াবিন ও খোলা সোয়াবিনের তেলের দাম পাঁচ টাকা কমিয়ে ১৬৯ ও ১৪৯ টাকা এবং পামওয়েলের দাম চার টাকা কমিয়ে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের খরচ ও মুনাফা বিবেচনায় নিয়েই এসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে কারো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। যদি কেউ বেশি মুনাফার জন্য অবৈধভাবে পণ্য মজুত রাখে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডিমের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং বাজারে যদি সে দামে বিক্রি না হয়, তাহলে আমরা ডিম আমদানির অনুমতি দেব। প্রথমে সীমিত পরিমাণে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে। ডিম আমদানির জন্য মন্ত্রণালয়ে বেশকিছু আবেদন এসেছে।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আজকে না হলেও কাল থেকে অভিযান শুরু করবে। এ ছাড়া সব জেলার জেলা প্রশাসক এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিভাগ ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হবে—নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রির জন্য। দেশের সর্বত্র মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে এবং আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।’

ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বছর ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয় না। পূজা উপলক্ষে ভারতীয় বাঙালিদের নিকট শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে দেশে যা উৎপাদন হয়, তার সামান্য রপ্তানি করা হয়। চার থেকে পাঁচ হাজার টনের বেশি নয়।’

এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার, ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এবং ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *