৩৩ কোটি ৩০ লাখ শিশু চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে : ইউনিসেফ

জাতীয় বাংলাদেশ

চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে ৩৩ কোটি ৩০ লাখ শিশু বাস করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, অতিমারি করোনাভাইরাসের কারণে শিশুদের দারিদ্র্যতা থেকে বের করে আনার লড়াইয়ের গতি মন্থর হয়েছে। আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে ইউনিসেফ। খবর এএফপির।

ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, অতিমারির জন্য পূর্বাভাস অনুযায়ী শিশুদের দারিদ্র্যের হার কমানো যায়নি। লক্ষ্যের চেয়ে তিন কোটি শিশুকে চরম দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করা যায়নি।

সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, প্রতি ছয়জনের মধ্যে একজন শিশু সেসব পরিবারে বেড়ে ওঠছে, যাদের দৈনিক আয় দুই দশমিক ১৫ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৩৫ টাকা)।

ইউনিসেফের প্রধান নির্বাহী ক্যাথেরিন রাসেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘কোভিড-১৯, সংঘাত, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক সংকট আমাদের অগ্রগতিকে মন্থর করে দিয়েছে। আর এতে লাখ লাখ শিশু চরম দারিদ্র্যতার দিকে ধাবিত হয়েছে।’

২০৩০ সালের মধ্যে শিশু চরম দারিদ্র্যের হার শূন্যের কোটায় আনার উচ্চভিলাষী লক্ষ্য নিয়েছিল জাতিসংঘ। লক্ষ্য অনুযায়ী তারা এগোতে পারছে না, যা এই প্রতিবেদনে স্পষ্ট হয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের দারিদ্র্যতা ও সমতাবিষয়ক বৈশ্বিক পরিচালক লুইস-ফেলিপ লোপেজ-কালভা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এমন একটি বিশ্বে রয়েছি, যেখানে ৩৩ কোটি ৩০ লাখ শিশু চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে। তারা কেবল মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত নয়, বরং মর্যাদা, সুযোগ ও আশা থেকেও বঞ্চিত।’

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের ৪০ শতাংশ শিশু চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি, কোভিড-১৯ ও জলবায়ু সম্পর্কিত বিপর্যয়সহ বেশ কয়েকটি কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অঞ্চলটিতে চরম শিশু দারিদ্র্যের হার বেড়েছে। আফ্রিকা বাদে পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে শিশু চরম দরিদ্র্যের হার কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *