পরিচালক সঞ্জয় লীলা ভানসালী পরিচালিত অন্যতম জনপ্রিয় সিনেমা ‘বাজিরাও মস্তানি’। এ সিনেমায় জুটি বেঁধে কাজ করেছিলেন রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। রাণবীর ও দীপিকার বাস্তবের প্রেমের ঝলক দেখা গিয়েছিল সিনেমাতেই। বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটির রসায়নে মুগ্ধ হয়েছিলেন দর্শক থেকে সমালোচক, সবাই। তবে প্রাথমিক ভাবে এ সিনেমার জন্য নাকি দীপিকাকে নয়, ঐশ্বরিয়া রায়কে বেছেছিলেন ভানসালি। মাস্তানির চরিত্রের জন্য নাকি চূড়ান্তও হয়ে গিয়েছিলেন সাবেক এ বিশ্ব সুন্দরী। কিন্তু শেষমেশ নায়ক হিসেবে সালমান খানের অভিনয়ের কথা হওয়ায় আর কাজ করা হয়ে ওঠেনি তার।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘বাজিরাও মাস্তানি’ সিনেমার জন্য সঞ্জয় লীলা ভানসালী প্রথমে ঐশ্বরিয়ার কাছেই প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন। এর আগে ভানসালি পরিচালিত ‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ ও ‘দেবদাস’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন তিনি। দু’টি সিনেমাতেই প্রশংসিত হয়েছিল তার অভিনয়। ফলে ভানসালীর সঙ্গে ফের জুটি বাঁধতে আপত্তি করেননি তিনি।
তবে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সিনেমার নায়ক। সেই কারণেই নাকি সিনেমায় কাজ করতে রাজি হননি নায়িকা। শোনা যায়, ঐশ্বরিয়ার বিপরীতে সালমান খানকে বাজিরাও হিসাবে নির্বাচন করেছিলেন পরিচালক। অতীত অভিজ্ঞতার কথা মনে রেখেই নাকি সালমানের সঙ্গে কাজ করতে চাননি বচ্চন পরিবারের বৌমা। সালমানের নাম না নিলেও করন জোহরের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট ভাষায় সেই কথাই জানিয়েছিলেন তিনি।
‘হাম দিল দে চুকে সানাম’ সিনেমায় সালমানের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করেছিলেন ঐশ্বরিয়া। সে সিনেমায় সালমন ও ঐশ্বরিয়ার প্রেমের কথা কারো অজানা নেই। যদিও সেই সম্পর্ক বিশেষ সুখের ছিল না বলেই জানা যায়। ২০০৭ সালে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন ঐশ্বরিয়া। তার পর থেকে আর কখনও সালমানের সঙ্গে কাজ করেননি তিনি।
