প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গণভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এই আহ্বান জানান। এ সময় তিনি দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্টের যেকোনো পদক্ষেপ এবং জাতির অগ্রগতির বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয়ে সবাইকে সর্বদা সতর্ক থাকার কথাও বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের মাতৃভূমিকে এগিয়ে নিতে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। আমরা আমাদের জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা ও ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব।’
শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং স্মার্ট সরকার, স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সোসাইটি নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে আরও এগিয়ে যাবে। কারণ, তাঁর সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এরইমধ্যে এ দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা মানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করবে।’ তিনি বলেছেন, তাঁর সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংবিধান সংশোধন করে সব জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও অধিকার পুনরুদ্ধার করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সংবিধান সংশোধণ করে সব ধর্মের অধিকার রক্ষা ও দর্মীয় উৎসব পালনের স্বাধীনতাবিষয়ক সব অনুচ্ছেদ বাতিল করেছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘জিয়া সংবিধানের ১২ অনুচ্ছেদ বাতিল করে দেন, যা আমাদেন ধর্মীয় নিরপেক্ষতাকে নিশ্চিত করেছিল।’
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানও বক্তব্য দেন।