আফগানিস্তানের স্পিন ডিপার্টমেন্টটা সবসময়ই প্রতিপক্ষের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে। রশিদ খান, মুজিবউর রহমান ও মোহাম্মদ নাবি তিনজনেই দাপিয়ে বেড়ান বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। তিনজনই বিশ্বমানের স্পিনার, সেটি বলার অবকাশ রাখে না।
ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এশিয়া কাপে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার মিশনে মাঠে নামতে যাচ্ছে টিম টাইগার্স। হারলেই এশিয়া কাপ থেকে বাদ, এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে আফগানদের বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আফগানিস্তানের দলে বিশ্বসেরা স্পিনার থাকলেও তাদের নিয়ে মোটেও বিচলিত নন টাইগার হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহে। আফগানদের বিপক্ষে শেষ হারলেও সেখান থেকে পাওয়া শিক্ষা কাজে লাগিয়ে এশিয়া কাপে জয় চান এই লঙ্কান।
ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে হাথুরু বলেন, ‘ওদের বোলিং আক্রমণ বিশ্বসেরা, বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে। দুজন সত্যিকারের বিশ্বমানের স্পিনার ও দারুণ পেসার আছে। আমরা ওদের বিপক্ষে সম্প্রতি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলেছি। আমরা জানি ওরা কী করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আফগানিস্তান বোলিং আক্রমণ অবশ্যই বিশ্বের অন্যতম সেরা। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে। তবে আমরা ওদের বিপক্ষে কিছুদিন আগেই খেলেছি। আমাদের খেলোয়াড়রা কিছু সাফল্যও পেয়েছে। এখন ম্যাচের দিন কে কেমন খেলে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজেভাবে হারার কারণে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় ভিন্ন পথ খোলা নেই বাংলাদেশের। কেননা এই ম্যাচ হারলেই বি-গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়ে যাবে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানের। তখন লঙ্কান ও আফগানদের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি হয়ে যাবে কেবলই নিয়মরক্ষার ম্যাচ।
তবে জিতলেও যে খুব একটা স্বস্তিতে থাকবে বাংলাদেশ তেমনটা কিন্তু নয়। কেননা তখন বাংলাদেশের প্রার্থনা করতে হবে শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচে লঙ্কানদের জয়ের জন্য। যদি কোনোভাবে সেই ম্যাচে আফগানিস্তান জিতে যায় তাহলে হিসেব হবে রান রেটের।
সেক্ষেত্রে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও থাকবে টাইগারদের। তবে সেই মারপ্যাঁচে যেতে হলে আগে আফগানদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে জিততে হবে সাকিব অ্যান্ড কোংদের।