যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় এক শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারী তিনজন কৃষ্ণাঙ্গকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ‘বর্ণবিদ্বেষ’ বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে। এনিয়ে রোববার (২৭ আগস্ট) নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের কোনো সুযোগ নেই।’
বাইডেন বলেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করি যেখানে আমাদের স্কুল-কলেজে যাওয়া কালো শিক্ষার্থী বা তাদের পরিবার শুধু ত্বকের কারণে হামলার আতঙ্কে বসবাস করে। আমাদের অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে, নীরব থাকাটা একটা সমস্যা। কিন্তু আমাদের চুপ থাকা যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার (২৭ আগস্ট) ফ্লোরিডার ডলার স্টোরে ২০ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ যুবক ভারী বন্দুক নিয়ে ঢুকে পড়ে। এরপরই এলোপাতাড়ি গুলি চালানো শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে তার গোলাগুলি শুরু হয়। ওই ঘটনায় ৩ কৃষ্ণাঙ্গ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। এরপর নিজের বন্দুকের গুলিতে ওই যুবক আত্মহত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পরদিন রোববার ঘটনাস্থলে কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়ে নিহত কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। মর্মাহত প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিহতদের পরিবারের প্রতি শোক জানিয়ে বলেছেন, তার দেশে ঘৃণ্য হামলার কোনো সুযোগ নেই।
জ্যাকসনভিলের শেরিফের টিকে ওয়াটারস বলেন, বন্দুকধারীর লক্ষ্য ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গরা। তাদেরই তিনি গুলি করে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। শ্বেতাঙ্গ ওই বন্দুকধারী বর্ণবাদী ছিলেন। কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি তার বিদ্বেষ ছিল। ঘৃণা থেকেই বন্দুকধারী এ রকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। তবু আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন পাসে নারাজ দেশটির আইনপ্রণেতারা। বন্দুক সহিংসতা সংরক্ষণাগার ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক সহিংসতায় ২৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।