নাইজারের সামরিক শাসকেরা দেশটি থেকে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া দেশটি রক্ষার জন্য প্রতিবেশী মালি ও বুরকিনা ফাসোর সৈন্যদের প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। পশ্চিম আফ্রিকান জোট অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপ করার হুমকি দেয়ার প্রেক্ষপটে দেশটির সামরিক শাসকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানা গেছে, শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সভায় যোগদানের আমন্ত্রণ উপেক্ষা করায় একটি চিঠির মাধ্যমে ফরাসি রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইটকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নাইজার ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
চিঠিতে বহিষ্কারের কারণ হিসেবে আরো বলা হয়, ‘ফরাসি সরকার নাইজারের স্বার্থবিরোধী কাজ’ করছে।
এদিকে ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার বলেছে, ‘ক্ষমতা দখরকারীদের’ তাদের রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার কোনো অধিকার নেই।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘রাষ্ট্রদূতের নিয়োগ অনুমোদন করেছিল নাইজারের বৈধ নির্বাচিত সরকার।’
সাবেক ফরাসি উপনিবেশ নাইজারে গত মাসে সামরিক অভ্যুত্থানের আগে পর্যন্ত ফ্রান্সের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছিল। ফরাসিবিরোধী ক্ষোভের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে। নাইজার এবং আশপাশের অনেক দেশই তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের জন্য ফ্রান্সকে দায়ী করছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সামরিক অভ্যুত্থানকারীদের তীব্র সমালোচনা করে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মোহা্মদ বাজুমকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি জানান।
এদিকে সামরিক শাসক জেনারেল আবদুররহমান চিয়ানি দুটি নির্বাহী আদেশে সই করে ‘আগ্রাসন মোকাবেলায় বুরকিা ফাসো ও মালির নিরাপত্তা বাহিনীকে নাইজারে প্রবেশের অনুমতি’ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।