প্রিগোশিনকে সাবধান হতে বলেছিলেন লুকাশেঙ্কো

আন্তর্জাতিক

ভাগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোশিন এবং কমান্ডার ও ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী এই প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা দিমিত্রি উতকিনকে আগেই সতর্ক করেছিলেন বেলারুশের রাষ্ট্রপতি আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো। তিনি তাদের জীবনের ঝুঁকির বিষয়ে সাবধানে থাকতে বলেছিলেন। এমনকি ভাগনার যোদ্ধারা বেলারুশেই থাকবে বলে তিনি শুক্রবার জোর দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি সপ্তাহে রাশিয়ায় একটি বিমান দুর্ঘটনায় প্রিগোশিনের সন্দেহজনক মৃত্যুর বিষয়ে মন্তব্য করে লুকাশেঙ্কো বলেন, ভাগনার বসকে তার জীবনের সম্ভাব্য হুমকির বিষয়ে দুইবার সতর্ক করেছিলেন তিনি। তবে তার কথায় পাত্তা দেননি প্রিগোশিন।

লুকাশেঙ্কো আরও বলেছিলেন, বিদ্রোহের সময় তিনি প্রিগোশিনকে সতর্ক করেছিলেন মস্কোর দিকে অগ্রসর হওয়া মানে নিজের মৃত্যু ডেকে আনা। জবাবে প্রিগোশিন বলেছিলেন, তাতে কিছু আসে যায় না— আমি মারা যাব।

রাষ্ট্রপতি পুতিন প্রাথমিকভাবে জুন মাসে করা প্রিগোশিনের বিদ্রোহকে চূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই বিদ্রোহকে তিনি ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের পরবর্তী অশান্তির সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। বিদ্রোহ থামানোর পর প্রিগোশিনসহ ভাগনার যোদ্ধাদের বেলারুশে নির্বাসিত করার চুক্তি করেন পুতিন।

চুক্তির মধ্যস্থতা করেছিলেন পুতিনের ঘনিষ্ট মিত্র লুকাশেঙ্কো। বেলারুশিয়ান এই প্রেসিডেন্টের মতে, ভাগনার প্রধানসহ এর যোদ্ধাদের যেন নিশ্চিহ্ন না করা হয় সে ব্যাপারে পুতিনকে রাজি করিয়েছিলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *