দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ নীতিমালা নিয়ে আজ সভায় বসছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ভোটগ্রহণ নীতিমালাসহ সাতটি অ্যাজেন্ডা নিয়ে কমিশন সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (২১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা শুরু হবে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, কমিশনের বৈঠকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ-সংক্রান্ত নীতিমালা তথা ক্যালেন্ডার উপস্থাপন করব। কমিশনের অনুমোদন পেলে আমরা প্রশিক্ষণ শুরু করব। তবে অবশ্যই সেপ্টেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হবে। কমিশন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ নীতিমালা খসড়া তৈরি করছে। সোমবার কমিশন সভায় এ সংক্রান্ত নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ বা ৫৪ হাজার ৩৪৯টি ভোটকক্ষ বেড়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ২ লাখ ৭ হাজার ৩১৯টি ভোটকক্ষ ছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৬৬৮টি।
তিনি আরও বলেন বলেন, সব থেকে বেশি ভোটকক্ষ বেড়েছে কুমিল্লায়। সেখানে বেড়েছে ৩০ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর সব থেকে কম ভোটকক্ষ বেড়েছে ঢাকায়। এখানে বেড়েছে ২১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্র ছিল। সেখান থেকে বেড়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা প্রায় ৪২ হাজার ৩৮০টির মতো হতে পারে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার ২ হাজার ১৯৭টি ভোটকেন্দ্র বাড়ছে। তবে ইসির চূড়ান্ত হিসাবে কিছু কম-বেশি হতে পারে।
কমিশন সভায় যে সাতটি বিষয়ে আলোচনা করা হবে
১. প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৩।
২. নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ২০০৮ এর সংশোধন।
৩. স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচন ২০১০ এর সংশোধন।
৪. জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের উদ্দেশ্যে প্যানেল প্রস্তুতের নির্দেশিকা।
৫. নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত সময় দায়িত্ব পালনের জন্য আপ্যায়ন বাবদ অর্থ প্রদান সংক্রান্ত গাইডলাইন।
৬. নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট এর ২০২৩-২৪ সালের প্রশিক্ষণ বর্ষপঞ্জির খসড়া চূড়ান্তকরণ।
৭. বিবিধ।