গতকাল শনিবার মিরপুরে এই বিশেষ ক্যাম্পের বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে বিসিবি নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। মূলত এশিয়া কাপের পর নিউজিল্যান্ড সিরিজ এবং ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্যই ব্যাকআপ ক্রিকেটার প্রস্তুত রাখার জন্য এই ক্যাম্পের ডাক দিয়েছে বোর্ড।
এ প্রসঙ্গে বাশার বলেন, ‘দেখুন আমাদের একটা দল তো যাচ্ছেই। আমাদের বিশ্বকাপের এখনো দুই মাস সময় আছে। এই সময়ে অনেকের ইনজুরির কনসার্ন হতে পারে। সব কিছু মাথায় রেখেই আমাদের পুলটা… ৩০-৩২ জনের একটা পুল তো আছেই, সবাই যেন অনুশীলনে থাকে, যখন যাকে দরকার হয়, যদি কেউ দুর্ভাগ্যবশত ইনজুরিতে পড়ে, যেটা খেলারই অংশ। তাহলে যেন সবাইকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়া যায়। যেহেতু আমাদের এখন কোনো ঘরোয়া ক্রিকেট নেই, কেউ ক্রিকেট খেলছেন না। তাই এই সময় সবাইকে অনুশীলনে রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। সেটাই আসলে চেষ্টা করা হচ্ছে। যেহেতু সময় আছে, ২-১ দিনের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে।’
মূলত গেল ৩০ জুলাই শুরু হওয়া প্রাথমিক ক্যাম্পের ৩২ জনের মধ্য থেকে বাদ পড়া খেলোয়াড়রাই থাকবে এই বিশেষ ক্যাম্পে। তাই বলা যায় তামিম-মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে এই ক্যাম্পে থাকতে যাচ্ছেন তাইজুল ইসলাম, খালেদ আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন, তানজিম হাসান, সাইফ হাসান ও জাকির হাসান।
এদিকে এদিন আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়েও কথা বলেন বিসিবির এই নির্বাচক। এ সময় টাইগারদের গেল ১ বছরের পারফরম্যান্সে ভালো কিছু অর্জন হবে বলে আশাবাদী সুমন। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ ও কঠিন হয়। এখানে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। বাকি যে দলগুলো আছে, সবাই কিন্তু সময়ের সঙ্গে অনেক এগিয়েছে। গত ৪-৫ বছরের চেয়ে আফগানিস্তান অনেক এগিয়েছে, শ্রীলঙ্কাও গুছিয়ে নিয়েছে। ভারত, পাকিস্তান অনেক শক্তিশালী। বাকি দলগুলা কিন্তু খুব ভালো। আমাদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে, যদি ভালো করতে হয়। গত ১ বছরের পারফরম্যান্স যদি দেখেন, তাহলে তো আমরা আশাবাদী হতেই পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে সেই পারফরম্যান্সের রিপিট করাটা খুব জরুরি। কারণ বড় টুর্নামেন্টে সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমরা প্রস্তুত আছি। দল হিসেবে আমরা ভালো করছি। গত ১ বছর ধরে আমরা আমাদের খেলার ধরন সম্পর্কে পরিষ্কার, কী ধরনের খেলা খেলতে চাই, সেটা এখন আমরা পরিষ্কার। যদি টুর্নামেন্টে আমরা রিপিট করতে পারি, তাহলে অবশ্যই এশিয়া কাপে ভালো করা সম্ভব। তবে এটি অবশ্যই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের টুর্নামেন্ট সব সময়ই চ্যালেঞ্জ হয়।’