‘সব মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে’

‘সব মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে’

বাংলাদেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ আমাদের পাশে আছে। তাই প্রাকৃতিক, দুর্যোগ, করোনা অতিমারী ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগসহ সব মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি বলেই সরকারে আসার পর থেকে আমরা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দিচ্ছি। একটি ঘর যখন একটা মানুষ পায়, তখন তার মুখের যেই হাসি, যেই আনন্দ অশ্রু- এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৬০৭টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছি। কেউ আর ঠিকানাবিহীন থাকবেন না এটাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে অনেক ঝড় বয়ে গেছে। একদিকে করোনা মহামারি, তারপর ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন, সারা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি। এর ওপর আবার আমাদের সেই মিলিটরি ডিকটেটরদের হাতে তৈরি হওয়া রাজনৈতিক দলের অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ হত্যা, রাস্তা কেটে ফেলা, ঘর-বাড়ি পোড়ানো, পাঁচশ স্কুল পোড়ানো, ৮৩৬টি বাস-গাড়ি পোড়ানো। এই জ্বালাও-পোড়াও সন্ত্রাস, হরতাল-অবরোধ অনেক কিছুর ভেতর দিয়েই আমাদের পার হতে হয়েছে। কিন্তুে যেহেতু জনগণ আমাদের পাশে আছে। তাই প্রাকৃতিক, দুর্যোগ, অতিমারি ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ সব মোকাবিলা করেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এটা একমাত্র বাংলাদেশের জনগণের জন্য। তাই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।

সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করেছেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার একমাত্র লক্ষ্য। জাতির পিতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য আজকে আমরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করছি। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ তার জীবটাকে অন্তত সুরক্ষিত করতে পারবে।

এর আগে, সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতে গত ২৪ জানুয়ারি সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল-২০২৩’ পাস হয়। বিলে ১৮ বছর থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকের নির্ধারিত হারে চাঁদা পরিশোধ করে ৬০ বছর পূর্তির পর আজীবন পেনশন সুবিধা ভোগ করার বিধান রাখা হয়। ইতোমধ্যে পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট (www.upension.gov.bd) চালু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *