দেশের কিংবদন্তি ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু। ২০১৮ সালে তিনি চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আজ ‘গিটার জাদুকর’খ্যাত এই কিংবদন্তির জন্মদিন। বেঁচে থাকলে পা রাখতেন ৬১ বছরে। রক মিউজিকে তিনি যে পথের সূচনা করেছিলেন, সেই পথ ধরেই হেঁটে চলছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। এক জীবনে যত নন্দিত গান তিনি উপহার দিয়ে গেছেন, গিটারের যে জাদুকরী সুর ছড়িয়ে গেছেন, তা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর।
১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। পরিবারের অমত থাকলেও ব্যান্ডের প্রতি তার ভালোবাসা জন্মায় একেবারে শৈশবেই। ছেলের এমন আগ্রহ দেখে ১১তম জন্মদিনে বাবা একটি গিটার কিনে দেন। কিন্তু তখন কেউ কল্পনা করেনি, এই এগারোর কিশোর একদিন দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় গিটারিস্ট ও ব্যান্ড তারকা হয়ে উঠবেন! কলেজ জীবনে ওঠার পরই বন্ধুদের নিয়ে একটি ব্যান্ড গঠন করেন আইয়ুব বাচ্চু। প্রথমে এর নাম ছিল ‘গোল্ডেন বয়েজ’।
এছাড়া একক শিল্পী হিসেবে তার অ্যালবামের মধ্যে রয়েছে- রক্তগোলাপ (১৯৮৬), ময়না (১৯৮৮), কষ্ট (১৯৯৫), সময় (১৯৯৮), একা (১৯৯৯), প্রেম তুমি কি! (২০০২), দুটি মন (২০০২), কাফেলা (২০০২), প্রেম প্রেমের মতো (২০০৩), পথের গান (২০০৪), ভাটির টানে মাটির গানে (২০০৬), জীবন (২০০৬), সাউন্ড অব সাইলেন্স (ইন্সট্রুমেন্টাল, ২০০৭), রিমঝিম বৃষ্টি (২০০৮), বলিনি কখনো (২০০৯), জীবনের গল্প (২০১৫)। এর বাইরে তার গাওয়া গানের অসংখ্য মিক্সড অ্যালবাম রয়েছে। আইয়ুব বাচ্চুর গাওয়া অসংখ্য কালজয়ী গানের মধ্যে রয়েছে ‘সেই তুমি’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘মেয়ে’, ‘কেউ সুখী নয়’, ‘হাসতে দেখো গাইতে দেখো’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘ঘুমন্ত শহরে’, ‘রুপালি গিটার’, ‘উড়াল দেবো আকাশে’, ‘একচালা টিনের ঘর’, ‘তারাভরা রাতে’, ‘বাংলাদেশ’, ‘বেলা শেষে ফিরে এসে’, ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’, ‘আম্মাজান’, ‘ফেরারি মন’ ইত্যাদি।