পুরাতন কবরের অবস্থান কোথায় ছিল, কার নামে কোন জায়গায় কবর দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা আছে, কোন পুরাতন কবরের ওপর নতুন কবর দেওয়া হবে এসব বিষয় পরিকল্পনা করে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম আনছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
আজ বৃহস্পতিবার গুলশান-২ ডিএনসিসি নগর ভবনে আয়োজিত স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেম প্রাথমিকভাবে উদ্বোধন উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে জানানো হয়, কবরস্থান ব্যবস্থাপনা হবে অ্যাপের মাধ্যমে। এতে কবরস্থানে দাফনদের তথ্য থাকবে, পাশাপাশি দাফন সনদও সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়া পুরাতন কবরের অবস্থান কোথায় ছিল, কার নামে কোন জায়গায় ঠিক কবর দেওয়া হয়েছিল, বর্তমানে কবর দেওয়ার জন্য কোথায় ফাঁকা জায়গা আছে, কোন পুরাতন কবরের ওপর নতুন কবর দেওয়া যাবে এমন যাবতীয় তথ্য ডিএনসিসির অ্যাপ পাওয়া যাবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৬টি কবরস্থানই পর্যায়ক্রমে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা সিস্টেমের আওতায় আনা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট কবরস্থান ব্যবস্থাপনা। আজকের যদি ডাটা থাকে তাহলে আমরা অনেক বছর পরও তথ্য জানতে পারব। কবরস্থানের সব ব্যবস্থাপনা হাতের মুঠোয় থাকবে।’
মেয়র আতিকুল বলেন, ‘কবরস্থানে কত কবর আছে। কোথায় কবরের লোকেশন ছিল। একটা জেনারেশন পরে আর কেউ কিন্তু এই তথ্য জানবে না। তবে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি এখন ডিজিটাল ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে আত্মীয় স্বজনরা অনেক বছরও এই তথ্য জানতে পারবেন। কবর কোথায় ছিল, এটা নিয়ে আর কেউ দিশাহারা হবে না। আমরা যদি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডাটা রাখতে পারি তাহলে তারা অনেক বছর পরেও জানতে পারবে এসব তথ্য।’
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। চ্যালেঞ্জ নিয়েও আমরা ম্যাপিং কাজ শুরু করেছি। পরবর্তীতে কবরস্থানে বড় বড় স্ক্রিন থাকবে, আমরা সেখানে দেখতে পাবো কবরের তথ্য। এগুলোকে টোটাল ম্যানেজম্যান্টের মধ্যে আনতে, হাতের মুঠোয় আনতে আমরা কাজ করছি। আমাদের ঢাকা উত্তরের ছয়টি কবরস্থান ডিজিটাইলেজেশন করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা এটার এমন সেবা দিতে চাই, যেন নাগরবাসীর পাশাপাশি বিদেশেও যারা আছেন তারা যেন তাদের স্বজনদের কবরের সার্বিক তথ্য হাতের মুঠোয় পায়। পাশাপাশি কবর কোথায় দেবে, কোথায় ফাঁকা আছে তার সার্বিক তথ্য পেয়ে যাবে।’
‘কবরস্থানে নির্দিষ্ট মেয়াদে কবর সংরক্ষণের খরচ আমরা বাড়িয়েছি। এর কারণ এমনিতেই কবরের জায়গার সঙ্কট। তাই কবর সংরক্ষণকে নিরুৎসাহিত করার জন্য আমরা সংরক্ষণ খরচ বাড়িয়েছি। বনানী কবরস্থানেও যদি কেউ কবর দিতে আসে, আর সেটা যদি স্থায়ী না করা হয়, তাহলে সেই কবর দেওয়ার খরচ আমরা রেখেছি মাত্র ৫০০ টাকা। তবে কবর সংরক্ষণে করতে চাইলে সেটা অনেক খরচ পড়বে,’- বলেন ডিএনসিসি মেয়র।