উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী

উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী

বাংলাদেশ

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই লক্ষ্যকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবার আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট এভিয়েশন শিল্পে রূপান্তর করা। এদেশের স্মার্ট এভিয়েশন শিল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সোমবার (৩১ জুলাই) যশোরে ‘যশোর বিমানবন্দর’ এর নবনির্মিত টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানেই দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গত সাড়ে ১৪ বছরে অর্থনীতি, ব্যাবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ, কৃষি, অবকাঠামো, রাস্তা-ঘাট, মৎস্য-প্রাণী সম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, এভিয়েশন ও পর্যটনসহ দেশের প্রতিটি খাত উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন জনগণের জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে দেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের এভিয়েশন শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কারিগরি ও জন দক্ষতা উন্নয়ন এবং সময়োপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে।বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ।

মাহবুব আলী বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সকল বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সম্মানিত যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এয়ার ফিল্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৬০ সালে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করা যশোর বিমানবন্দরে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ সম্পাদন হয়েছে। এর অপারেশনাল কার্যক্রমও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। নতুন এই নান্দনিক টার্মিনাল নির্মাণের ফলে এই এলাকার জনগণ ও বিমানবন্দর ব্যবহার করে যাতায়াতকারী যাত্রীগণ বিমান যাত্রায় এখন থেকে আরও উন্নত ও আধুনিক সেবা পাবেন। এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারেও ভূমিকা রাখবে এই বিমানবন্দর। এই দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিক টার্মিনাল এই এলাকার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রকল্পের মাধ্যমে এই নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণের ফলে যশোর বিমানবন্দর বছরে ১ মিলিয়ন যাত্রী ব্যবস্থাপনা করার সক্ষমতা অর্জন করবে। নতুন টার্মিনাল ভবনে রয়েছে ৮টি চেক-ইন- কাউন্টার, ৫টি ল্যাগেজ স্ক্যানিং মেশিন, ৫টি আর্চওয়ে, ভিআইপি লাউঞ্জ ও কার পার্কিং। এছাড়াও এই প্রকল্পের অধীনে রানওয়ে লাইটিং সিস্টেম উন্নয়ন, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন ও আবাসিক ভবন নির্মাণ, কার্গো এয়ারক্রাফট পার্কিং, এপ্রোন সম্প্রসারণ ও ট্যাক্সিওয়ে নির্মাণ, পানি শোধানাগার নির্মাণ, যোগাযোগ ও নিরপত্তা যন্ত্রাবলী স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল ( অব.) ডা. নাসির উদ্দিন, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *