মেসি জাদুতে আটালান্টাকে উড়িয়ে দিলো মায়ামি

মেসি জাদুতে আটালান্টাকে উড়িয়ে দিলো মায়ামি

খেলাধুলা

দ্বিতীয় ম্যাচে জোড়া গোল করলেন লিওনেল মেসি। গোল করালেন সতীর্থকে দিয়ে। সব মিলিয়ে ইন্টার মায়ামি হেসেখেলে ৪-০ গোলে হারালো আটলান্টা ইউনাইটেডকে। আর টানা দ্বিতীয় জয়ে লিগস কাপের শেষ ১৬তে উঠলো ইন্টার মায়ামি।

প্রথম ম্যাচ মেক্সিকান ক্লাব ক্রুজ আজুলের বিপক্ষে বদলী হিসেবে খেলতে নেমে ইনজুরি টাইমে ট্রেডমার্ক ফ্রি-কিক শটে গোল করে মায়ামিকে জিতিয়েছিলেন মেসি। বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে ঘরের মাঠে মেসি প্রথমবার যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ক্রাবের বিপক্ষে খেলতে নামেন সেরা একাদশে, অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পড়ে।

খেলার ৮ মিনিটেই গোল করে বসেন তিনি। সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ সের্জি বুসকেটসের কাছ থেকে একটা ওভার দা টপ বল প্রতিপক্ষের অর্ধের মাঝামাঝিতে রিসিভ করে দৌড়ে গিয়ে শট নেন মেসি। দূরের পোস্টে প্রতিহত বল ফিরে এলে আলতো শটে বল জালে পাঠিয়ে মায়ামির স্টেডিয়ামকে মাতিয়ে তোলেন।

২২ মিনিটে মেসির দ্বিতীয় গোলটি ছিল দারুণ বোঝাপড়ার ফসল। বক্সের বাইরে থেকে টেইলরকে বল দিল ফিনল্যান্ডের উইঙ্গার কাটব্যাকে বল দেন মেসিকে। ছোটো বক্সের সামন থেকে বল জালে পাঠান ৭ বারের ব্যালন ডি অর জয়ী।

৪৪ মিনিটে টেইলর গোল করেন। বক্সের সামন থেকে মাইনাস করেন বল মেসি, ক্রিমেস্কি তা ফ্লিক করে দেন টেইলরকে। পা বায়ের দুর্দান্ত শটে আটলান্টা গোলকিপারকে পরাস্ত করে স্কোরলাইন ৩-০ করেন টেইলর বিরতির ৮ মিনিট পর মেসি আর রবার্ট টেইলরের গতির সঙ্গে পারেনি আটলান্টা। একটি কর্নার ক্লিয়ার হওয়ার পর বল ধরে দৌড়ে যান মেসি প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে। টেইলার জায়গা করে নেন বক্সে ঢুকে। মেসি বল দিলে ফিনিশ উইঙ্গার বাম পায়ের শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেন।

ব্যবধান যথেস্ট দেখে ৭৭ মিনিটের মধ্যে মেসি-বুসকেটস দুজনকেই বদলে ফেলেন কোচ জেরার্দো মার্তিনো। এর কিছুক্ষণ পর পেনাল্টি থেকে গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েছিল আটলান্টা। কিন্তু মেসি আর্জেন্টিনা সতীর্থ থিয়াগো আলমাদার শট বাচিয়ে দেন মায়ামি গোলরক্ষক ড্রæ ক্যালেন্ডার।

খেলা শেষে রবার্ট টেইলর দলে মেসির ইমপ্যাক্টের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘মেসি যতবার বল নিয়ে গেছে, ততোবার আমাদের কেউ না কেউ দৌড়ে গেছে এবং তাতে অন্যদের জন্য জায়গা তৈরি হয়েছে। আসলে সে বল পায়ে যে কোনো কিছু করতে পারে। সে ছোটো জায়গাতেই বল নিয়ে যেতে পারে এবং সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পারে। সে দলের মধ্যে এতো কোয়ালিটি এনেছে বলবার নয়। সে বিশ্ব সেরা ফুটবলার। সে গোল করে, গোল বানিয়ে দেয়। তার সঙ্গে খেলতে পারাটা স্বপ্ন পূরণের মতো।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *