দেশে ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি নামে একটি সংগঠন আছে। তাদের তৎপরতা খুব একটা দেখা যায় না। তবে এবার ঘুম ভেঙেছে এই সংগঠনের। ফুটবলারদের স্বার্থ রক্ষায় প্রস্তাবনা নিয়ে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি বৈঠক করেছে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে। দুই ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে বাফুফে ভবনে। সমিতির দাবি আসন্ন লিগে যেন বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যাটা আর না বাড়ানো হয়। বিদেশি ফুটবলার বাড়ানোর প্রস্তাব বাফুফের কাছে গিয়েছে। ছয়জন বিদেশি রেজিস্ট্রেশন এবং চারজন খেলবে এই সুযোগ করে দিতে হবে।
এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং এএফসি কাপে খেলবে আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস। এশিয়ার ক্লাব ফুটবলে গিয়ে যদি বিদেশি খেলোয়াড় সংখ্যা বেড়ে যায় তাহলে সেটা আপত্তি নেই খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির। তাদের দাবি লিগে যেন এই সংখ্যা না বাড়ানো হয়। এটাকে কমাতে হবে। মাত্রই শেষ হওয়া প্রিমিয়ার লিগে নিয়ম ছিল পাঁচ জন রেজিস্ট্রেশন করা যাবে আর খেলবে চার জন।
খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি সাবেক মিডফিল্ডার ইকবাল হোসেন। তিনি বাফুফের সঙ্গে সভা শেষে জানিয়েছেন বাফুফের কাছে তাদের পাঁচ দাবি লিখে স্মারকলিপি দিয়েছে। ইকবাল হোসেন ছাড়াও সালাহউদ্দিনের সঙ্গে এই বৈঠকে ছিলেন সাবেক ফুটবলার আতা, নকিব, গোলাম গাউস, স্বপন, মাসুদ রানা, গোলকিপার বিপ্লব, জাহিদ হোসেন, জাহিদ হাসান এমিলি প্রমুখ।
১. বিদেশি খেলোয়াড় কোটা যেন না বাড়ে। লিগে চার জন বিদেশি ফুটবলার অনুমতি দেওয়া হলে সেটি ঠিক আছে। চার জন রেজিস্ট্রেশন হবে তিন জন খেলতে পারবে। খেলোয়াড় পরিবর্তনের বিষয়ে দেশি ফুটবলার নামানো যাবে। মানে হচ্ছে বিদেশি ফুটবলার বসিয়ে দিতে চাইলে তার জায়গায় দেশি ফুটবলার নামানো যাবে না।
২. এখন ৩৫ জন ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করানো যায়। এই তালিকায় যদি দুই জন জুনিয়র ফুটবলার থাকেন তাহলে তারা সিনিয়রদের কাছে থেকে শিখতে পারবেন সেই সঙ্গে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারবেন। ইকবাল জানিয়েছেন বাফুফে সভাপতি বলেছেন, ৩৫ জনের তালিকায় ঠিক থাকুক। ৩৫ জনের পরিবর্তে ৩৭ ফুটবলার করা হলে দুই জন জুনিয়র রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। আমরা একমত হয়েছি।
৩. ভালো মাঠ চাইল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি। কমলাপুর স্টেডিয়ামের টার্ফে খেলতে খেলতে এটার অবস্থা খুবই নাজুক। খেলোয়াড়রা আহত হচ্ছেন। একটা মাঠে এভাবে খেলা হয় না। শহরে মাঠের সংখ্যা বাড়াতে অনুরোধ করলে বাফুফে সভাপতি বলেছেন তিনিও একমত। তিনিও মাঠ চাইছেন। বিষয়টি নিয়ে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন ইকবাল।
৪. দেশি ফুটবলারদের নিয়ে একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করার অনুরোধ করেছে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি। এখন যমন প্রিমিয়ার লিগসহ সব খেলায় বিদেশি ফুটবলার থাকছেন। বছরে অন্তত একটা টুর্নামেন্ট যেন দেশি ফুটবলারদের নিয়ে আয়োজন করা হয়। হোক সেটা ফেডারেশন কাপ, স্বাধীনতা কাপ কিংবা সুপার কাপ টুর্নামেন্ট।
৫. বাফুফের কাছে কাউন্সিলরশিপ চেয়েছে ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতি। সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেছেন, ‘আমরা দুইটা কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার কথা জানিয়েছি। সালাহউদ্দিন ভাই বলেছেন তিনি সব দাবি বাফুফের সভায় তুলবেন।