সম্পূর্ণরূপে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনেই মার্কিন ভিসানীতি: উজরা জেয়া

সম্পূর্ণরূপে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সমর্থনেই মার্কিন ভিসানীতি: উজরা জেয়া

বাংলাদেশ
বাংলাদেশে ‘সম্পূর্ণরূপে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন’কে সমর্থন করার উদ্দেশ্যেই নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারের তিনি বলেন, আমরা মনে করি ‘সম্পূর্ণরূপে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন’ প্রতিটি গণতন্ত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, গণতন্ত্রের উন্নতি করতে সক্ষম হওয়ার জন্য অপরিহার্য।

উজরা জেয়া বলেন, ঢাকা সফরে আমরা সরকারের সঙ্গে অনেক ইস্যুতে আলোচনা করবো। এর মধ্যে আছে মানবিক সহযোগিতা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া আশা করি। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি নিয়ে সম্পর্কের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।

হিন্দুস্তান টাইমস জানতে চায়, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে মুক্ত ও উন্মুক্ত রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে, এই ক্ষেত্রে কী করার পরিকল্পনা করছেন সে সম্পর্কে আমাদের আরও কিছু বলতে পারেন? আপনার বাংলাদেশ সফর নিয়ে অনেক আগ্রহ রয়েছে, আপনি কি এ বিষয়ে কিছু আলোকপাত করতে পারেন?

প্রশ্নের জবাবে উজরা জেয়া বলেন, অবশ্যই আমি মনে করি, কোয়াডের মতো নতুন গ্রুপগুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের ভারতীয় বন্ধুদের সঙ্গে আরও সমৃদ্ধ, আরও সুরক্ষিত, আরও সংযুক্ত, আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক, আরও স্থিতিস্থাপক একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিককে সমর্থন করার জন্য সম্মিলিত দৃষ্টিভঙ্গি এবং অঙ্গীকার ভাগ করে নিয়েছি। আমি আমাদের কূটনৈতিক আলোচনা সম্পর্কে খুব বেশি বিশদে যেতে পারি না, তবে অবশ্যই এটি আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার অবিচ্ছেদ্য অংশ, আমাদের উভয় সরকারের জন্য আরেকটি অভিন্ন পেশা।

দিল্লির পরপরই ঢাকায় যাব, আমি খুবই আনন্দিত। প্রকৃতপক্ষে আমরা সরকারের সাথে (বাংলাদেশের) বিভিন্ন ইস্যুতে জোরালো আলোচনার অপেক্ষায় রয়েছি। মানবিক সহযোগিতা, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং আমি মনে করি একটি শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মধ্যে যোগসূত্র, যা অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য এবং বহু দশকের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের বিষয়।

বাংলাদেশের উচ্চাকাঙ্ক্ষা অর্জনে শ্রম অধিকার এবং শ্রমিক সংগঠনের স্বাধীনতার সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও কথা হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *