‘আইটেম গার্ল’ তকমায় চটেছেন নুসরাত ফারিয়া

‘আইটেম গার্ল’ তকমায় চটেছেন নুসরাত ফারিয়া

বিনোদন

ঈদে রায়হান রাফি পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমায় ‘ও টাকা তুই আমার কলিজা আর জান’ আইটেম গানে কোমর দুলিয়ে দর্শক মাতিয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। এতে নায়িকা থেকে ‘আইটেম গার্ল’ তকমা লাগায় আপত্তি জানিয়েছেন ফারিয়া।

সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ফারিয়া বলেন, প্রত্যেক শিল্পীই একেকজন পারফর্মার। অথচ আইটেম গার্ল শব্দ দিয়ে মেয়েদের বিশেষায়িত করা হয়। আমার মনে হয়, এ সময়ে এসে আমরা কাউকে আইটেম গার্ল বলতে পারি না। এ ধরনের গানে কিন্তু ছেলেদেরও দেখা যায়। তাদের তো কেউ আইটেম বয় বলে না। তাহলে মেয়েদের ক্ষেত্রে কেন বলা হবে? তার মতে এতে শিল্পীরা লিঙ্গবৈষম্যের শিকার হন।এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, গানটি করার আগে আমার মধ্যে যে চিন্তা ঘুরছিল সেটা হলো, দিন শেষে আমরা কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করি। আমার জন্য যদি ৫০ জন দর্শক হলে যায় তাহলে কিন্তু বাংলা সিনেমার লাভ। যারা হলে গিয়ে সিনেমা দেখার অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছেন, তাদের হলে ফেরানোই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

গানটিতে পারফর্ম করা খুব উপভোগ্য ছিল বলে জানান ফারিয়া। তবে এ গানে নাচতে প্রথমে রাজি ছিলেন না তিনি। অভিনেত্রী বলেন, ‘এ গানের প্রস্তাব যখন পাই তখন গানটি আমার পছন্দ হয়নি। এ কারণে তাদের প্রথমে না করে দিই। দুই সপ্তাহ পর তারা আবারও আমার কাছে আসে। জানায়, এ গানটি যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে, সেখানে আমাকেই প্রয়োজন। তারপর তাদের কিছু শর্ত দিই। প্রথমত, গান পরিবর্তন করতে হবে, কে কোরিওগ্রাফি করবে, চার শ ড্যান্সার লাগবে।এ কারণে তাদের বাজেট বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা সবকিছু ব্যবস্থা করেছে। এ কারণেই এত ভালো আউটপুট হয়েছে।’

এদিকে কাজের বাইরে বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন ফারিয়া। প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অবতারে হাজির হন তিনি। গত বৃহস্পতিবার খোলামেলা পোশাকে কিছু ছবি পোস্ট করে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন ফারিয়া। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বাজে মন্তব্য নিয়ে কখনোই বিচলিত হন না তিনি।

ফারিয়া বলেন, ‘আমি আমার ভক্তদের সামনে কখনোই নিজেকে ফেকভাবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি না। আমি যে রকম সেভাবেই তাদের সামনে নিজেকে উপস্থাপন করি। অনেক সময় নেটিজেনদের কাছ থেকে নেগেটিভ মন্তব্য পেলেও সেগুলো গুরুত্ব দিই না। আমি জানি আমার কাজগুলো আমার হয়ে কথা বলবে। যে যাই বলছে বা করছে, দিন শেষে বাড়িতে গিয়ে তারা কিন্তু আমার কাজ দেখে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *