যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে দ্বিতীয় দফা বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানি বাড়লেও বিপদসীমার ২৮সে. মি. নিচে রয়েছে।
শনিবার সকালে পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র অনুযায়ী যমুনার পানি আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। উজানের পানি বাড়ায় জুন মাসের মাঝামাঝিতে যমুনায় পানি বাড়তে শুরু করে। জুনের শেষে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৬ সে.মি. ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ১ জুলাই স্থিতিশীল থাকার পর ২ জুলাই থেকে কমতে থাকে পানি। টানা নয়দিন পানি কমার পর শুক্রবার থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে বলে পাউবোর ওই কর্মকর্তা জানান।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালের মত বন্যা হতে পারে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে জেলার ভাণ্ডারে ২৫০ মে.টন চাল, সাড়ে ৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, শিশু খাদ্যের জন্য দু’লাখ টাকা, গো-খাদ্যের জন্য আরো প্রায় ২ লাখ টাকা এবং চাল,ডাল, চিনি ও তেলসহ ৮টি আইটেম সম্বলিত ২ শ’ শুকনা খাবারের প্যাকেট রয়েছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুল হক জানান, জুনের বন্যায় জেলার প্রায় ১৯ হাজার ৩ শ’ ৬৫ হেক্টর জমি এখনও পানিতে নিমজ্জ্বিত হয়ে আছে। তার ওপর আবার পানি বাড়ছে, সেটি দীর্ঘস্থায়ী হলে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে।