বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলবে। সেই সঙ্গে ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগেরও তদন্ত চলবে।
এ ছাড়াও এ বিষয়ে জারি করা রুল তিন সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রোববার (৯ জুলাই) সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন সালাম মুর্শেদীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী। রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা ও দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান শুনানি করেন।
গত ২৫ জুন বাফুফের এই তিন কর্তাসহ ফেডারেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ বহাল রাখেন আদালত। তবে ফিফার টাকার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশে স্থিতাবস্থা জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানো হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি হয়।
গত বৃহস্পতিবার ফুটবল ফেডারেশনের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করেন কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তবে ২৬ জুন সকালে আবেদন প্রত্যাহার করেন কাজী সালাউদ্দিন।
এর আগে ১৫ মে কাজী সালাউদ্দিন, আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও আবু নাঈম সোহাগসহ ফুটবল ফেডারেশনের সব বিষয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।