নাসির কাণ্ডে সাক্ষ্য দিলেন তামিমার মেয়ে

নাসির কাণ্ডে সাক্ষ্য দিলেন তামিমার মেয়ে

বাংলাদেশ

তালাক জালিয়াতির মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদলত। সাক্ষীরা হলেন তামিমার মেয়ে রাফিয়া হাসান তুবা ও তামিমার পূর্বের স্বামী বাদী রাকিব হাসানের মামা লুৎফর রহমান।

মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেন সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বাদীপক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালত তামিমার মেয়ে রাফিয়া হাসান তুবার সাক্ষ্য আজ (মঙ্গলবার) গ্রহণ করেছে। আদালত ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। এ বিষয়ে এখন কিছুই বলার এখতিয়ার নেই আমার।’সাক্ষ্য গ্রহণকালে নাসির ও তার স্ত্রী তামিমা উভয়ই আদালতে উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাকিব বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তুবা হাসান নামে ৮ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তাম্মি পেশায় একজন কেবিন ক্রু। গত বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি তাম্মি ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা বাদীর নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে জানতে পারেন এবং তিনি হতবাক হন।

মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘তামিমা বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় নাসিরের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। আসামি নাসির বাদীকে ফোন করে জানান, যে সম্পূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত এবং তার নিকট তামিমা আছেন। বাদীর সঙ্গে বিয়ের সম্পর্ক চলমান থাকাবস্থায় তামিমার নাসিরকে বিয়ে করা যা ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে সম্পূর্ণ অবৈধ। ’

অভিযোগে তামিমা ও নাসিরের সম্পর্ক অবৈধ উল্লেখ করে বলা হয়, ‘তাম্মি ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে বাদী ও তার শিশু কন্যা মানসিক বিপর্যস্ত। আসামিদের এমন কার্যকলাপে বাদী ও তার শিশু সন্তানের জন্য চরমভাবে মানহানিকর।’

মামলাটি আমলে নেয়ার পর সেটি তদন্তের ভার পান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ পরিদর্শক শেখ মো. মিজানুর রহমান। গত বছর তিনি তদন্তের প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর আসামীদের আদালতে হাজির হওয়ার সমন জারি করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাকিবকে তালাক দেননি তামিমা। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জালিয়াতি করে তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনো রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ। এছাড়া জেনে শুনে তামিমাকে নাসিরের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ায় তামিমার মা সুমি আক্তারও দোষী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *