আজ মিনায় যাবেন হাজিরা

আজ মিনায় যাবেন হাজিরা

আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ

শুরু হয়েছে হজের আনুষ্ঠানিকতা। রোববার বিকালে পবিত্র কাবা শরীফ তাওয়াফের মধ্য দিয়ে এবারের হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আজ সোমবার (২৬ জুন) হাজীদের কাবা থেকে মিনায় নেওয়া হবে।

ঝামেলামুক্তভাবে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ এবং বিভিন্ন দেশের হজ মিশনগুলো। এছাড়া হাজীদের মিনায় নেওয়ার জন্য সেখানে সকল ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে হজ কর্তৃপক্ষ। বিভিন্ন দেশের মুসল্লিদের আগমনে মক্কার রাস্তাঘাট এখন গমগম করছে। সাদা তাবুতে ছেড়ে গেছে মক্কার ওলিগলি। এ বছর সৌদি আরব হজের জন্য বয়সসীমার বিষয়ে শিথিলতা আরোপ করেছে। গতকাল রোববার বিকালে তাওয়া আল কুদুমের জন্য সকল মুসল্লিরা মক্কায় জড়ো হন। এর মধ্য দিয়েই মূলত হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু। আজ কাবা থেকে মুসল্লিদের মিনায় নেওয়া হবে।

তাঁবুর শহর নামে পরিচিত মিনা প্রান্তর। এতে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে হজের অনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। হজের পাঁচ দিনের প্রথম দিন মিনায় অবস্থান করা। এখানে অংশ গ্রহণ করা এবং ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকা সুন্নত।

মিনায় অবস্থানের পর পর্যায়ক্রমে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান, মুজদালিফায় রাতযাপন এবং জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপ, কোরবানিসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন হাজিরা। জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১২ জিলহজ শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।

পৃথিবীর নানা ভাষার মুসলিমের মুখে উচ্চারিত ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ ধ্বনিতে মুখরিত হবে মিনা প্রান্তর।

মিনায় যাওয়ার আগে হাজিরা হজের নিয়তে ফরজ ইহরাম পরিধান করেন। মক্কায় অবস্থানরত বিদেশিরা নিজ নিজ হোটেল কিংবা মসজিদে হারাম বা নির্দিষ্ট মিকাত থেকে ইহরাম পরিধান করেন। হজ পালনকারীদের জন্য ৮ জিলহজ জোহরের নামাজের আগে মিনায় পৌঁছা সুন্নত। মিনায় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও রাতযাপন সুন্নত।

মিনায় অবস্থানে পুরোটা সময় হাজিরা তালবিয়া, জিকির ও কোরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকেন। এখানে অবস্থানের প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান। অল্প সময়ও জিকির-আজকার থেকে বিরত থাকা উচিত নয়। তাই জিকির ও ইবাদতে মগ্ন থাকা মিনার অত্যন্ত জরুরি আমল। অনর্থক গল্প-গুজব থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

তিন বছর পর এবার বড় পরিসনে হজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনার বিধিনিষেধের কারণে গত তিন বছর বড় পরিসনে হজ আয়োজন সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে এবার লাখ লাখ মুসল্লিদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ মক্কা মদিনা শহর।

এ বছর প্রায় ২০ লাখের অধিক মুসল্লিদ হজ পালন করছেন। যা ২০২২ সালের তুলনায় দ্বিগুন।

হজ মৌসুমে হাজিদের যাতে কোনো ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় এজন্য সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ৩২ টি হাসপাতালে প্রস্তুত রেখেছে। এছাড়া রয়েছে ১৪০টি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র। স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করার জন্য এখাতে ৩২ হাজার প্যারামেডিকেল কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *