নানান জনের কত কথা। সন্তান না হওয়ার কারণে প্রতিবেশী, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজনদের কথার জবাব দিতে দিতে এতোদিনে ক্লান্ত হয়ে যাবার কথা এই তারকা দম্পত্তির। কিন্তু তারা আসল খবর জানতেন। তাই অধিকাংশ সময় থাকতেন চুপ। অবশেষে সে সময়টি এল। সবার জন্য জবাবও বটে।
কলেজ জীবন থেকেই একে অপরকে চিনতেন রাম চরণ ও উপাসনা। বন্ধু মহলে তারা ছিলেন আলোচিত। অম্ল-মধুর সম্পর্কে সবাইকে মাতিয়ে রাখতেন। এরপর এক সময় রামচরণ দেশের বাইরে যান। তখন পরস্পরের সঙ্গ মিস করতেন তারা। সবাই ধরেই নিয়েছিল প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন দু’জন। কিন্তু তখনও পরস্পরকে বন্ধুই ভাবতেন তারা।
রাম চরণের ‘মাগাধীরা’ সিনেমাটি মুক্তির পরই মূলত উপাসনার সঙ্গে এই অভিনেতার প্রেমের সম্পর্ক শুরু হয়। দু’জনের পরিবারের মধ্যে বেশ মধুর সম্পর্ক ছিল, এজন্য বিয়ে নিয়েও কোনো ঝামেলা হয়নি।
জানা গেলো, বিয়ের ১১ বছর পর বাবা হলেন দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার রাম চরণ। মঙ্গলবার (২০ জুন) হায়দরাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রাম চরণের স্ত্রী উপাসনা। কন্যা ও মা সুস্থ রয়েছেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মেডিক্যাল বুলেটিনের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়া টুডে।
পিংকভিলা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার (১৯ জুন) বিকালে হায়দরাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন উপাসনা। গতকাল ভোর রাতে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। রাম চরণ-উপাসনার এটি প্রথম সন্তান। তবে এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি রাম চরণ কিংবা চিরঞ্জীবী।
ছেলে কন্যা সন্তানের বাবা হতে যাওয়ার খবরটি প্রথমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন রাম চরণের বাবা চিরঞ্জীবী। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর এক টুইটে এই খবর জানান তিনি।
২০১১ সালের ১১ ডিসেম্বর হায়দরাবাদের টেম্পল ট্রি ফার্মসে রাম চরণ ও উপাসনার বাগদান হয়। জাঁকজমকপূর্ণ এই আয়োজনে ছিলেন দুই পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনরা। তাদের বাগদান নিয়ে ভক্তদের মধ্যে বেশ উন্মাদনা ছিল। তাকে নিয়ে মিডিয়ার মাতামাতিতে বেশ বিব্রত ছিলেন উপাসনা। তবে সবকিছু বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন রাম চরণ। ২০১২ সালের ১৪ জুন পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে এই জুটির বিয়ে ও বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।