আরোহী নিয়ে টাইটানিক টুরিস্ট সাবমেরিন নিখোঁজ

আরোহী নিয়ে টাইটানিক টুরিস্ট সাবমেরিন নিখোঁজ

আন্তর্জাতিক
এক বিলিয়নিয়ারসহ পাঁচ আরোহী নিয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ পরিদর্শনে যাওয়া একটি ছোট সাবমেরিন নিখোঁজ হয়ে গেছে। এটির সন্ধানে ব্যাপক উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। খুব দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব না হলে আরোহীদের ভাগ্য করুণ পরিণতি নেমে আসতে পারে। কারণ, এতে খুব বেশি অক্সিজেন মজুত নেই।

সামাজিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, নিখোঁজ সাবমেরিনের অন্যতম আরোহী ছিলেন ৫৮ বছর বয়স্ক ব্রিটিশ বিলিওনিয়ার হ্যামিশ হার্ডিং। এটি ছিল ২০২৩ সালে মনুষ্যবাহী মিনি সাবমেরিনটির প্রথম ও একমাত্র মিশন।

ট্যুর ফার্ম ওশেনগেট জানিয়েছে, তাদের ছোট্ট সাবমেরিনটি উদ্ধারের জন্য সম্ভব সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার নৌবাহিনীর পাশাপাশি বাণিজ্যিক অনুসন্ধান জাহাজও উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে। উদ্ধারকাজে দুটি বিমান, একটি সাবমেরিন, একটি সোনার বয়াও রয়েছে। ট্রাক-আকারের এই সাবমেরিনে পাঁচজন আরোহী থাকতে পারে। তাদের জন্য অতিরিক্ত চার দিনের অক্সিজেন থাকে।

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জোন্সের প্রায় ৪৩৫ মাইল দক্ষিণে। তবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বোস্টন থেকে ম্যাসাচুসেটস পর্যন্ত।

এই সাবমেরিন ট্যুর কর্মসূচির টিকিটের দাম আড়াই লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় ২৭ লাখ টাকার বেশি)। আট দিনের এই ট্যুরের মধ্যে রয়েছে সাড়ে ১২ হাজার ফুট নিচে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে যাওয়া। মিনি সাবমেরিনটির ওজন ১০ হাজার ৪৩২ কেজি। এটি ১৩ হাজার ১০০ ফুট নিচে যেতে পারে এবং ৯৬ ঘণ্টা সাগরের নিচে অবস্থান করতে পারে।উল্লেখ্য, ওই সময়ের বৃহত্তম জাহার টাইটানিক ১৯১২ সালে নিউ ইয়র্কের সাউথাম্পটন থেকে তার প্রথম যাত্রায় ছাড়ার পরই ডুবে যায। এই দুর্ঘটনায় ২২ শ’ যাত্রীর মধ্যে দেড় হাজারের বেশি মারা গিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৮৫ সালে এর ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়। এরপর থেকে এটিও একটি আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত হয়েছে। টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দুটি অংশে বিভক্ত হয়ে পরস্পর থেকে ২৬ শ’ ফুট দূরে অবস্থান করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *