বাবাদের ভালোবাসা জানানোর বিশেষ দিন আজ

বাবাদের ভালোবাসা জানানোর বিশেষ দিন আজ

আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ

সন্তানের কাছে বটবৃক্ষ সমতুল্য বাবা। তার ছায়ায় স্বস্তির ঘুম দিতে পারে সন্তান। বাবার বিশালতা বোঝাতে গিয়ে হুমায়ূন আহমেদ বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে অসংখ্য খারাপ মানুষ আছে। কিন্তু একজনও খারাপ বাবা নেই।’

বাবা শাশ্বত, চির আপন, চিরন্তন। বাবার তুলনা তিনি নিজেই।উল্লিখিত দিকটিকে স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর জুনের তৃতীয় রোববার বিশ্বের বেশির ভাগ দেশে পালিত হয় বাবা দিবস।বাবা দিবসের ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এটা পালন করা শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল, এটা বোঝাতেই দিবসটি পালন করা হতে থাকে।

ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়।আবার সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক নারীর মাথায়ও বাবা দিবসের আইডিয়া আসে। যদিও তিনি ১৯০৯ সালে ভার্জিনিয়ার বাবা দিবসের কথা একেবারেই জানতেন না।ডড এই আইডিয়াটা পান গির্জার এক পুরোহিতের বক্তব্য থেকে। সেই পুরোহিত মাকে নিয়ে অনেক ভালো ভালো কথা বলছিলেন।

তখন তার মনে হয়, তাহলে বাবাদের নিয়েও তো কিছু করা দরকার।

ডড তার বাবাকে খুব ভালোবাসতেন। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই পরের বছর, অর্থাৎ ১৯ জুন, ১৯১০ সাল থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন।আসলে মা দিবস নিয়ে মানুষ যতটা উৎসাহ দেখাত, বাবা দিবসে মোটেও তেমনটা দেখাত না; বরং বাবা দিবসের বিষয়টি তাদের কাছে বেশ হাস্যকরই ছিল।ধীরে ধীরে অবস্থা পাল্টায়। ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে বাবা দিবসে ছুটির জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়।১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন।অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন বাবা দিবসে ছুটির ঘোষণা দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *