ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে সবাইকে শিক্ষা গ্রহণ করতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সম্মেলনের সাধারণ অধিবেশনে বুধবার (১৪ জুন) দেওয়া ভাষণের পর এক প্রশ্নে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস কীভাবে ব্যবহার করতে হয় সেটা শিখতে হবে। এ এক্ষেত্রে নতুন প্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণকে আরও বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত, যাতে জনগণ দক্ষ হয়ে উঠতে পারে, আমাদের দেশে আমরা এটি করছি।
তিনি বলেন, বিশ্ব ব্যবস্থা বদলে যাচ্ছে, নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব আসছে। আমরা চাই কেউ যেন তাদের চাকরি না হারায়। তাই চাকরির সুযোগ সৃষ্টির জন্য আমাদের প্রয়োজন শিক্ষা।
তিনি আরও বলেন, স্কুল পর্যায় থেকে আমাদের ডিজিটাল ল্যাব এবং কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে। এরপর প্রশিক্ষণ এবং ইনকিউবেশন সেন্টার আছে যাতে তরুণ প্রজন্ম প্রশিক্ষণ নিতে পারে। আমরা আমাদের জনগণকে প্রস্তুত করছি।
নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ গ্রহণেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সামাজিক ন্যায়বিচারকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মতো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর কেন্দ্রে রাখা প্রয়োজন। সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া স্থায়ী শান্তি অথবা টেকসই উন্নয়ন হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সরকারের বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি রয়েছে। এটি শ্রমিক, কৃষক, বয়স্ক মানুষ, শিক্ষার্থীদের জন্য। কর্মজীবী মা, স্তন্যদাত্রী মা এবং প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীও এর আওতায় রয়েছ। সরকার তাদের ভাতা দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের মতো করে সামাজিক নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি আমরা। তবে আমি মনে করি এটি আরও ব্যাপকভাবে হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। কোনো মানুষ যাতে পিছিয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে সহায়তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসা উচিত।