সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসির পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে জাপান

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসির পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে জাপান

বাংলাদেশ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে দেখা করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের খোঁজ নিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।

আজ বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন তিনি। এ সময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি আমার কমিশনের সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ। আপনারা জানেন আজকের আগে আমি দেখা করার সুযোগ পাইনি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন সেগুলো জানতে চেয়েছি। কিন্তু বৈঠকের বিষয়ে আমি কোনো কিছু প্রকাশ করব না। তাঁরাই ব্রিফ করবেন।’

পরে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জাপানের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। কারণ উনি বাংলাদেশে যোগদানের পর সিইসির সঙ্গে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। উনি আমাদের নির্বাচনের রোডম্যাপের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। সিইসি গত সেপ্টেম্বরে ঘোষিত রোডম্যাপের বিষয়ে তাঁকে ব্রিফ করেছেন। এটাই ছিল মূল বিষয়। এর মধ্যে বিশেষ করে ছিল নির্বাচনে রাজনৈতিক দলসমূহের নিবন্ধনের অগ্রগতি, সীমানা পুনর্নির্ধারণের অগ্রগতি, কোন পদ্ধতিতে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করে থাকি, সে বিষয়গুলো জানতে চেয়েছিলেন।

অগ্রগতি জানার পর কোনো সন্তুষ্টির কথা বলেছেন কি না—জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘এখানে সন্তুষ্টি-অসন্তুষ্টির কিছু না। ঠিক আছে, না নেই এটা বলারই তো এখতিয়ার থাকার কথা না। সুতরাং আপনাদের বুঝতে হবে, এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় বিষয়। আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন রোডম্যাপে যে ঘোষণা দিয়েছেন তার অগ্রগতি কী।’

পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘পর্যবেক্ষণ নিয়ে উনি কিছু বলেননি। সিইসি যেটা বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছিল। আমরা সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছিলাম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইইউ যোগাযোগ রাখছে, সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে তারা টিম পাঠাতে পারে। সিইসি তাদেরও অনুরোধ করেছেন আপনারা পর্যবেক্ষক টিম পাঠান, আমরা স্বাগত জানাব।’

রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন—সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘উনি তো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। ওনার রাষ্ট্রের সঙ্গে আগে কথা বলবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *