মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত যাত্রীসেবায় ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজস্ব বোর্ডের এক বিশেষ আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক গণপরিবহন। মেট্রোরেল যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে বিরাট ভূমিকা পালন করবে। মেট্রোরেল চালু হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় গণপরিবহনকে অধিক জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে এ গণপরিবহনে যাতায়াত ব্যয় সাশ্রয়ী করা প্রয়োজন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সালের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মেট্রোরেল সেবার ওপর আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এ আদেশ ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর হতে কার্যকর হয়েছে মর্মে গণ্য হবে।
গত মার্চে যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর কোনো মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য নয় উল্লেখ করে ভ্যাট ছাড় চায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। এমন অবস্থায় ডিএমটিসিএল থেকে ভ্যাট আদায়ে রাজস্ব বোর্ডের দিকনির্দেশনা চায় কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ)।
এনবিআরের আইন অনুযায়ী, তাপানুকূল (এসি) ও নন-এসি রেলওয়ে সার্ভিসের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য রয়েছে। তবে ডিএমটিসিএলের দাবি ছিল- মেট্রোরেল এবং মেট্রোরেলের যাত্রীদের কোনো শ্রেণিবিন্যাস না থাকায় যাত্রীসেবার ওপর কোনো ধরনের মূসক প্রযোজ্য হবে না।
উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভাড়া ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের দাবি মেনে এবার পরিবহনটির যাত্রীসেবার ওপর ভ্যাট অব্যাহতি দিল এনবিআর।