ভোলার ইলিশা-১ কূপকে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা

ভোলার ইলিশা-১ কূপকে দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র ঘোষণা

বাংলাদেশ

ইলিশাকে নতুন গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্য দিয়ে ইলিশা-১ কূপ দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে পরিচিতি পাবে। এছাড়া আরও দুটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে ভোলায়।

সোমবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর বারিধারায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

তিনি বলেন, এ গ্যাসক্ষেত্রে সম্ভাব্য মজুত ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস, দৈনিক উত্তোলন করা যাবে ২০-২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত ইলিশা থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। একটা বড় সম্ভাবনার দিক উন্মোচন হলো। দেশের মানুষের জন্য এটা সুখবর।তিনি বলেন, এখানে পাওয়া গ্যাসের দাম ৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। একই পরিমাণ আমদানি করা গ্যাসের দাম পড়বে ২৮ হাজার কোটি টাকা।

ভোলার গ্যাসক্ষেত্রটি বড় আকারের স্বপ্ন দেখাচ্ছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভোলার গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে কাজ করছি আমরা। পাইপলাইন নির্মাণ করে ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে পাইপলাইন সম্পন্ন করতে চায় সরকার। পাইপলাইনে ভোলার গ্যাস সরবরাহ শুরু হতে লাগবে আরও তিন বছর।

তিনি বলেন, যত শিল্প এলাকা হবে ভবিষ্যতে সেখানে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে চায় সরকার। ভোলার গ্যাস দিয়ে মানুষকে কীভাবে সুবিধা দেওয়া যায়, সেটা আমরা বিবেচনা করে দেখছি।

এর আগে ভোলার ইলিশাকে দেশের নতুন গ্যাসক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে জ্বালানি বিভাগে প্রস্তাব পাঠায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)।

দেশের গ্যাস সংকট আর ক্রমবর্ধমান চাহিদার বিপরীতে জ্বালানি খাতে নতুন সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ভোলার ইলিশা। তিনটি স্তরে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার পর বাপেক্সের ধারণা, ইলিশা-১ কূপটিতে মজুত রয়েছে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এ মজুত দেশের বিদ্যমান অন্তত দশটি গ্যাসক্ষেত্রের তুলনায় বেশি।
বাপেক্স বলছে, প্রাথমিক অবস্থায় দৈনিক ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের যোগান দিতে পারবে ইলিশা-১। আর এখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যাবে ২৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত।গত ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিয়া ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় ‘ইলিশা-১’ কূপ খননকাজ শুরু করে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। ৩ হাজার ৪৩৬ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পেলে ২৪ এপ্রিল প্রথম স্তরের খননকাজ শেষ করা হয়।

প্রথম স্তরের সফলতার পর গত ৭ মে দ্বিতীয় স্তরেও মেলে গ্যাসের সন্ধান। পরে ১৫ মে তৃতীয় স্তরেও পাওয়া যায় গ্যাসের সন্ধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *