অবশেষে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর বাখমুত রাশিয়ার দখলে এসেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়ার ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন শনিবার (২০ মে) এক ভিডিওবার্তায় এ দাবি করেন।
এছাড়া বাখমুত দখলে নিয়োজিত সেনাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে পুরস্কারের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি। রোববার (২১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেন, আজ (শনিবার) দুপুরে বাখমুতকে পুরোপুরি দখল করে নেয়া হয়েছে। শহরের শেষ অংশে যেখানে ইউক্রেনিয়ান সৈন্যরা উঁচু দালানের মাঝে আশ্রয় নিয়েছিল, তাও এখন রাশিয়ার দখলে।
ইয়েভজেনি প্রিগোজিন জানান, ওয়াগনার সৈন্যরা শহরটিতে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। এ সময়ের মধ্যে শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরপর শহরটিকে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছেড়ে দেওয়া হবে ও ওয়াগনারের সৈন্যরা বিশ্রাম নিয়ে আবারও নতুন কোনো লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হবে।প্রিগোজিনের দেওয়া তথ্যানুসারে, বাখমুত দখলের লড়াইটি চলেছে সবমিলিয়ে ২২৪ দিন। তিনি বলেন, আমরা পুরো শহরটিই দখল করেছি। এর প্রতিটি দালান আমাদের দখলে, যাতে কেউ বলতে না পারে যে, আমরা শুধু শহরের ছোট্ট একটি অংশ দখল করেছি।
ভিডিওবার্তায় ওয়াগনার প্রধান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকেও সম্বোধন করেন। তিনি বলেন, কোনো রসিকতা নয়, ইউক্রেনের সৈন্যরা বাখমুত রক্ষায় সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছে।
জেলেনস্কিকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আজ যখন আপনার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের দেখা হবে, তখন তার কপালে চুমু দেবেন ও বলবেন, আমি তাকে (বাইডেনকে) হাই জানিয়েছি।’
তবে প্রিগোজিনের এ দাবি অস্বীকার করেছে কিয়েভ। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সের্গেই শেরেভাতি রয়টার্সকে বলেছেন, বিষয়টি সত্য নয়। আমাদের যোদ্ধারা এখনো বাখমুতে লড়াই করছে।
শনিবার (২০ মে) সকালে ফরাসি বিমানবাহিনীর একটি বিমানে করে জেলেনস্কি জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে জাপানের হিরোশিমায় পৌঁছান। এর আগে তিনি আকস্মিকভাবে সৌদি আরব সফরে যান।