আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে হাইকোর্টে ক্ষমা চেয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা।
বিচারপতি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে বৃহস্পতিবার হাজির হয়ে ক্ষমা চান তিনি।ভবিষ্যতে আর এ ধরণের কাজ করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজউক চেয়ারম্যান।
গত মঙ্গলবার রাজউক চেয়ারম্যানকে তলব করেন হাইকোর্টের এই বেঞ্চ। বৃহস্পতিবার সকালেই তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, প্রায় এক দশক আগে ফরিদা বেগম নামে এক নারী রাজউক থেকে নিকুঞ্জ এলাকায় প্লট বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করেন। পরে তিনি তার নামে নেওয়া প্লটটি খালেদ মাহমুদ নামে একজনের কাছে বিক্রি করেন। খালেদ মাহমুদ রাজউকের পাওনা পরিশোধ করেন। কিন্তু রাজউক থেকে চিঠি দিয়ে ১১ জনের প্লট বরাদ্দ বাতিল করা হয়, যার মধ্যে খালেদ মাহমুদের প্লটটি ছিল।
নিজের প্লট বাতিলের পর রাজউকের প্লট বরাদ্দের জটিলতার বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদ মাহমুদ।
রিটের শুনানি নিয়ে ২০০৪ সালে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ প্লট বরাদ্দ বাতিলের বিষয়ে রাজউকের দেওয়া চিঠির সিদ্ধান্ত ও কার্যকারিতা স্থগিত করে রুলও জারি করেন।
ওই রুলের শুনানিতে গত বছরের ডিসেম্বরে রাজউক চেয়ারম্যানকে প্লট বরাদ্দ বাতিল সংক্রান্ত চিঠির নথির বিষয় প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়।
আদালতের ওই আদেশ প্রতিপালন না করায় রাজউক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।