ফোর্বসের তালিকায় ৭ বাংলাদেশি

ফোর্বসের তালিকায় ৭ বাংলাদেশি

বাংলাদেশ

বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস প্রতিবছরই সম্ভাবনাময় তরুণ সংগঠক, উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবকের তালিকা প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার ফোর্বসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। ২০২৩ সালের ‘ফোর্বস থার্টি আন্ডার থার্টিতে’ বা ‘৩০ অনূর্ধ্ব ৩০’ শীর্ষক এশিয়া ‘মিডিয়া, মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন, সামাজিক প্রভাব ও কনজ্যুমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছেন ৭ বাংলাদেশি।

বিজনেস জার্নাল ফোর্বস ২০১১ সালে প্রথমবারের মতো ‘৩০ অনূর্ধ্ব ৩০’ তালিকা প্রকাশ করে। ব্যবসা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ৩০ বছরের কম বয়সী ৩০ জনকে নিয়ে তালিকাটি তৈরি করা হয়। ২০১৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ব্যতিক্রমী উদ্যোগের জন্য মোট ২৫ জন বাংলাদেশির নাম এ তালিকায় স্থান পেয়েছে।

স্থানপ্রাপ্তরা হলেন জাহ্নবী রহমান, দীপ্ত সাহা, আজিজ আরমান, রুবাইয়াৎ ফারহান, তাসফিয়া তাসবিন, আনওয়ার সায়েফ ও সারাবান তহুরা।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সৃজনশীল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান মার্কোপলো ডটএআইয়ের স্থপতি রুবাইয়াৎ ফারহান ও তাসফিয়া তাসবিন। তারা দুজন স্থান করে নিয়েছেন মিডিয়া, মার্কেটিং অ্যান্ড অ্যাডভারটাইজিং ক্যাটাগরিতে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং সেবা দিয়ে থাকে মার্কোপলো ডটএআই। ২০২২ সালে কোম্পানিটি ভেনচার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠান ‘সিঙ্গাপুর ভিসি’ থেকে সাত লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ পায়।

কৃষকদের ডিজিটাল সরবরাহ চেইনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে এবং তাদের ডিজিটাল দুনিয়ায় পরিচিত করতেই দীপ্ত সাহা গড়ে তুলেছিলেন অ্যাগ্রোশিফট টেকনোলজিস। তিনি কনজিউমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ৩০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ফসল এনে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে গত বছর চালু হওয়া প্রতিষ্ঠানটি।

আজিজ আরমান অনলাইনে গাড়ি ভাড়া করার অ্যাপ যাত্রীর প্রতিষ্ঠাতা। তিনি কনজিউমার টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে সেরা ৩০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। গত বছর ঢাকা বাস মালিক সমিতি ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু করতে সম্মত হয় এবং যাত্রীর মাধ্যমে ৫ হাজার ৬৫০টি বাসে ই-টিকিট ব্যবস্থা চালু হয়। ২০২১ সালে কোম্পানিটি ১২ লাখ ডলার বিনিয়োগ পায়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রিল্যাক্সির সহ-প্রতিষ্ঠাতা জাহ্নবী রহমান। তিনি ফোর্বসের উদীয়মান ৩০০ এশীয়দের মধ্যে সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছেন শীর্ষ ৩০ জনের মধ্যে। মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে বাংলাদেশি তরুণদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সহায়তা দিয়ে থাকে রিল্যাক্সি।

সাতজনের মধ্যে বাকি দুজন হলেন আনওয়ার সায়েফ ও সারাবান তহুরা। তারা দুজনে মিলে প্রতিষ্ঠা করেছেন টার্টল ভেঞ্চার স্টুডিও। উদ্যোক্তাদের সহায়তা করতে প্রতিষ্ঠিত এই উদ্যোগটির স্থপতিরাও সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট ক্যাটাগরিতে শীর্ষ ৩০ জনের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা করে থাকে টার্টল ভেঞ্চার। ২০১৮ সাল থেকে কাজ শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি এরই মধ্যে ৯০টি উদ্যোগের সঙ্গে কাজ করেছে এবং এদেরকে দেড় কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *