তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে কেউই ৫০ শতাংশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারেননি। এই কারণে দেশটিতে পুনরায় ২৮ মে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন যে, আল্লাহর হুকুমে তুরস্কের শতাব্দীর সূচনা করব।
টুইটে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে এরদোয়ান বলেছেন, দেশের সবেচেয়ে সংকটময় নির্বাচনের প্রথম পরীক্ষা অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে দিয়েছি। উসকানি ছাড়াই, চাপ উপেক্ষা করে, ভয় না পেয়ে, প্রতিকূলতার মুখে হার না দিয়ে কঠোর লড়াই করেছি।
কঠোর পরিশ্রম, প্রচেষ্টা এবং ত্যাগের জন্য সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান এরদোয়ান। এমন সমর্থক পাওয়ার জন্য তিনি প্রভুর প্রতি শুকরিয়া জানান। এরদোয়ান বলেন, ১৪ মে একটি বড় বিজয়ের সঙ্গে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি। এখন সেটিতে মুকুট দেওয়ার সময়।
এরদোয়ান তুর্কিদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, ২৭ মে অভ্যুত্থানের ৬৩তম বার্ষিকীর একদিন পর ২৮মে দ্বিতীয় দফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা এমন একটি জোট যারা জাতীয় ইচ্ছা এবং দেশ ও জাতির সেবা করার ভালোবাসাকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রাখি।এরদোয়ান বলেন, তুরস্ক আমাদের কাছ থেকে সেবা আশা করে, কাজ আশা করে, জাতি তার লক্ষ্য পূরণের প্রত্যাশা করে। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তরা অপেক্ষা করছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের ক্ষত সারাতে।
তিনি বলেন, আমরা ২৮ মে নির্বাচনের জন্য কাজ শুরু করেছি। আশা করি, আমরা আগামী দিনগুলোকে সবচেয়ে ভালো ও ফলপ্রসূভাবে মূল্যায়ন করব। আল্লাহর হুকুমে আমরা ২৮ মে তুরস্কের শতাব্দীর সূচনা করব।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে এরদোয়ান বলেন, আমি আপনাদেরকে বিশ্বাস করি।
১৪ মে তুরস্কে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পার্লামেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ট ভোট পেয়েছে এরদোয়ানের দল একে পার্টি ও তার জোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৪৯ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন এরদোয়ান। অপরদিকে ৪৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বিরোধী প্রার্থী কেমাল কিলিচদারুগ্লু। এই দুই জনের মধ্যে ২৮ মে চূড়ান্ত ভোট অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যিনি ৫০ শতাংশ ভোট পাবেন তিনিই হবেন তুরস্কের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।