আমদানি খরচ বাড়ায় দেশের বাজারে ১৬ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে গতকাল বুধবার (১০ মে) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে বাণিজ্য সচিব (সিনিয়র সচিব) তপন কান্তি ঘোষ ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের কথা জানিয়েছিলেন।
বাণিজ্য সচিব জানান, গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে দাম সমন্বয় করার অনুরোধ জানালে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়। পরে ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী খোলা চিনি প্রতি কেজি ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দামে চিনি বিক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনকেও মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তবে তারা আমাদের এ বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি।
ওই সময় চিনি আমদানির জন্য শুল্কহার এখনো বলবৎ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, এটা ৩১ মে শেষ হবে। চিনির জন্য শুল্কহার অব্যাহত রাখার জন্য আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআরকে চিঠি পাঠাব। যেহেতু চিনির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, এজন্য আমরা শুল্কহার আরও কমানোর জন্য সুপারিশ করব।
সর্বশেষ গত এপ্রিলে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০৪ টাকা ও প্যাকেট চিনি ১০৯ টাকা দরে বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিল সরকার।