বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার জোর সম্ভাবনা থাকায় বাংলাদেশকে আয়ারল্যান্ড আতিথেয়তা দিচ্ছে ইংল্যান্ডের এসেক্সের চেমসফোর্ড মাঠে। এই মাঠেই আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে তিন ম্যাচ খেলবে দুই দল। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষ আটে থাকতে পারলে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ মিলবে। ১৩০ পয়েন্ট নিয়ে চারে অবস্থান করা বাংলাদেশের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়ে গেছে অনেক আগেই। তাই এই সিরিজে বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই।
কিন্তু উল্টোচিত্র আয়ারল্যান্ড শিবিরে। ২১ ম্যাচে মাত্র ৬ জয়ে আয়ারল্যান্ডের পয়েন্ট ৬৮। সুপার লিগের ১৩টি ম্যাচই তারা হেরেছে। তবে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগ হাতছাড়া হয়নি এখনো। এজন্য কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে তাদেরকে। বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারলে ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে আয়ারল্যান্ড শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে চলে যাবে বিশ্বকাপে। ৮১ পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কা আছে দশে। ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়ে।
আয়ারল্যান্ডের জন্য এই সিরিজে বড় প্রাপ্তি পুরো স্কোয়াড ইনফর্ম মাঠে নামতে পারছে। অধিনায়ক বালবির্নে, স্টারলিং, কার্টিস ক্যাম্পার, অ্যান্ড্রু ম্যাকব্রেইনের ওপর আইরিশদের ব্যাটিং নির্ভর করছে। বোলিংয়ে লিটল নিশ্চিতভাবেই দলকে নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া উপমহাদেশের বাইরের কন্ডিশনে যে কোনো পেসারই বাংলাদেশকে ভোগাতে পারে।
পরিসংখ্যান, ইতিহাসে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের চেয়ে অনেক এগিয়ে। আবার আয়ারল্যান্ডের নিরপেক্ষ ও নিজেদের ভেন্যুতে বাংলাদেশকে হারানোর সুখস্মৃতিও আছে।