ঢাকায় অনুশীলন, প্রস্তুতি ম্যাচ কম্বোডিয়ায়

ঢাকায় অনুশীলন, প্রস্তুতি ম্যাচ কম্বোডিয়ায়

খেলাধুলা

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বেঙ্গালুরুতে যাওয়ার আগে সৌদি আরবে ক্যাম্প করতে যাচ্ছে না জাতীয় ফুটবল দল। সৌদি আরবকে না করে দিয়েছে বাফুফে। আর কথা জানিয়েছেন ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ। সিলেটে সিশেলসের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। সিশেলসের বিপক্ষে সিরিজ খেলার আগে সৌদি আরবে গিয়ে অনুশীলন করে আসেন জামাল ভুঁইয়ারা। আবারও সৌদি আরব আতিথ্য দিতে চেয়েছিল। সৌদি আরবের আগ্রহ ছিল যদি বাংলাদেশ সেখানে যায় তাহলে অনুশীলন করতে পারবে কিন্তু সেই সুবিধা নিতে রাজি না বাফুফে। কারণ বেঙ্গালুরু আর বাংলাদেশের আবহাওয়া এখন একই রকম মনে করছে ন্যাশনাল টিমস কমিটি। তাই সেখানে যাওয়ার প্রয়োজন মনে করছে না।

সাফে যাওয়ার আগে জাতীয় দলের অনুশীলন হবে বসুন্ধরা কিংসের মাঠে। ৪ জুন জাতীয় দলের অনুশীলন করতে চান দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। এখান থেকে কম্বোডিয়া যাবে ফুটবল দল। ১৫ জুন সেখানে প্রস্তুতি ম্যাচ। ১৬ জুন বেঙ্গালুরু যাবে ফুটবল দল। সেখানে কয়েক দিন অনুশীলন করে ২১ জুন সাফের ম্যাচ খেলতে নামবে ফুটবল দল। সৌদি আরব থেকে ভারতের দূরত্ব বেশি। তাই কম্বোডিয়া হতে ভারতে যাওয়ার আরেকটি কারণ জানিয়েছে টিমস কমিটি।

জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন সাবেক ফুটবলার ইকবাল হোসেন। এবার তাকে সরিয়ে দিয়ে অন্য কেউ সেই চেয়ারে বসে চাইছেন। গতকাল এ ব্যাপারে প্রশ্ন উঠলে ন্যাশনাল টিমস কমিটির সভা শেষে কমিটির চেয়ারম্যান কাজি নাবিল জানিয়েছেন তারা চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। কয়েক দিনের মধ্যে নেবেন। কোচিং স্টাফের তালিকায় পরিবর্তন আসতে পারে।

এবারের সাফে কুয়েত খেলতে আসবে। কঠিন চ্যালেঞ্জ হবে সেটি কাজী নাবিল মনে করিয়ে দিয়েছেন কোচ কাবরেরাকে। দেশের জন্য এটি মর্যাদার ব্যাপার।

নাবিল বলেন,‘সাফে কুয়েত ছাড়াও ভারত-মালদ্বীপ শক্তিশালী দল। সেটার জন্য আমরা কোচকে বলেছি যে, এটাই এই ক্যালেন্ডারে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। পুরো দেশবাসীর দৃষ্টিও এটায় থাকবে। এটায় আমাদের সকল চাওয়া পাওয়া নিহিত। গত কয়েক মাসের সব কিছু কেন্দ্র (ফুটবল নিয়ে সমালোচনা) করে যা কিছু হয়েছে তা কিন্তু সাফের জন্যই। কুয়েত আসার ফলে সাফ আরো কঠিন হয়ে গেছে, তবে সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই আমাদের খেলতে হবে। আর বেশ কয়েক বছর ধরেই সাফে আমরা সেমিফাইনাল যেতে পারিনি, এমনকি কোয়ালিফায়িং পর্বেও যেতে পারিনি। এটা আমাদের জন্য অপ্রাপ্তি রয়ে গেছে।’

২০০৩ সালে ঘরের মাঠে সাফ জয় করে সেই দেশ এখন আরেকটি ট্রফির পেছনে ছুটছে। কিন্তু বার বারই গ্রুপ পর্ব হতে বিদায় নিয়েছে। এবার সাফ হবে আরো কঠিন। উপমহাদেশের বাইরে কুয়েত আসবে। সঙ্গে আরো একটি দেশ আসতে পারে, সেটা জানা যাবে ১৫ মে-এর পর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *