আমার স্ত্রী অসহায় নারী নয়, সে আমার জন্য তার রাজ্য ছেড়েছে: সালমান মুক্তাদির

আমার স্ত্রী অসহায় নারী নয়, সে আমার জন্য তার রাজ্য ছেড়েছে: সালমান মুক্তাদির

বিনোদন

ইউটিউবার ও অভিনেতা সালমান মুক্তাদির গত মাসের শেষ দিনেই বিয়ের কাজটা সেরে ফেলেছেন। চলতি মাসের ২ তারিখ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে নিজেই জানিয়েছিলেন সে তথ্য। বিয়ের সাজে স্ত্রী দিশা ইসলামের সঙ্গে কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, বাকি জীবন এই রমণীর সঙ্গেই কাটাবেন।

এরপর গতকাল শুক্রবার স্ত্রীর প্রশংসায় একটি ফেসবুক পোস্ট দেন সালমান। সেখানে লেখেন ‘সে দুর্বল, অসহায় নারী নয়। সে রানি। আমার জন্য সে তার রাজ্য ছেড়েছে। আপনি আমার স্ত্রীকে জানেন না। আপনি জানেন না সালমান মুক্তাদিরের স্ত্রী হতে কী লাগে! আল্লাহ আমাদের ওপর রহমত বর্ষণ করুন এবং সব রকম নেতিবাচকতা থেকে আমাদের দূরে রাখুন। আলহামদুলিল্লাহ। আমরা অনেক সুখী।’

একই পোস্টে সালমান আরও লিখেছেন ‘‘আমার এক প্রাক্তন আমাকে অপেক্ষায় রাখে। কিন্তু সে আমাকে বিয়ে করেনি। অন্যজন আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ বলে, ‘আমার চেয়েও আরো ভালো কাউকে তুমি পাবে।’ এর মধ্য দিয়ে এই সম্পর্কের ইতি টেনেছিল। আরেকজন বলেছিল, ‘বিয়ের জন্য সে প্রস্তুত নয়।’ অবশেষে আমি এটা শিখেছি যে ততক্ষণ সবাই আপনাকে বিয়ে করতে চায়, যতক্ষণ আপনার সঙ্গে আলাপচারিতা চলে। সত্যি আপনাকে কেউ বিয়ে করে না। কেউ আপনাকে যথেষ্ট ভালোবাসে না।’

সালমান মুক্তাদিরের তাদের পরিচিত হবার গল্পও শুনিয়েছেন এই পোস্টে। ‘এরপর আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় হয়। শুরুতে আমরা বন্ধু ছিলাম। তার পর থেকে সে কখনো আমাকে কষ্ট দিয়ে কথা বলেনি, অসম্মান করেনি। সব সময় মানুষের সামনে আমাকে সম্মানিত করেছে, যেখানে অন্যরা আমাকে টেনে নিচে নামিয়েছে। অন্য মেয়েরা আমার সঙ্গে ছবি তুলেছে। কিন্তু আমার স্ত্রী কখনো আমার সঙ্গে ছবি তোলেনি। বরং আমার সঙ্গে কথা বলেছে, তার জীবনের গল্প বলেছে। সর্বশেষ আমরা পরস্পরের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করি। কিন্তু সিনেমার মতো প্রত্যেকে আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। সাত মাস আমার স্ত্রী সংগ্রাম করেছে, নরকের মধ্য দিয়ে সময় পার করেছে। সপ্তাহ, মাস সে আমাকে একটি মেসেজ কিংবা কল করতে পারেনি। মাসের পর মাস আমি তাকে দেখতে পাইনি। আমি ভেবেছিলাম আমার জীবনে আরেকটি ব্যর্থ প্রেম যুক্ত হতে যাচ্ছে। বিশ্বাস করা কঠিন, এই মেয়ে অন্য মেয়েদের মতো নয়।’

২৪ ঘণ্টার কম সময়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জানিয়ে সালমান আরো লেখেন, “দীর্ঘ সাত মাস পর আমার স্ত্রীর বেস্ট ফ্রেন্ড ফোন করে আমাকে জিজ্ঞাসা করে- ‘সব কিছু ছেড়ে সে (দিশা) যদি বাচ্চাদের নিয়ে তোমার দরজায় হাজির হয়, তুমি কি তাকে গ্রহণ করবে? নাকি তোমার জন্য বোঝা হয়ে যাবে?’ এ কথা শুনে আমার শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গিয়েছিল। আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। এমন বিক্ষিপ্ত পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে ২৪ ঘণ্টারও কম সময় নিয়েছিলাম।”

স্ত্রীর প্রশংসা করে তিনি লেখেন, ‘এখনকার দিনে তার মতো শক্তিশালী ভালোবাসা নেই। আমি এমন কাউকে খুঁজে পাব না, যে সালমান মুক্তাদিরের মতো একটি ছেলের জন্য সব কিছু ছেড়ে আসবে। সে আমার হৃদয়-আত্মা দেখেছে। মানবিক মানুষ হিসেবে সে আমাকে শ্রদ্ধা করে। সে তার সব কিছু দিয়ে আমাকে ভালোবাসে। সে তার সব কিছু ত্যাগ করেছে শুধু আমার জন্য। এই নারী শিক্ষিত, স্মার্ট, জ্ঞানী। আর এমন একটি মেয়ে জীবনসঙ্গী হিসেবে আমাকে বেছে নিয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *