শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ

শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ

বাংলাদেশ

শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ। দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব আজ সাড়ম্বরে উদযাপন করবে। এ উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধবিহারগুলোতে বুদ্ধ পূজা, প্রদীপ প্রজ্বালন, শান্তি শোভাযাত্রা, ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাতফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়াও মানবজাতির সর্বাঙ্গীণ শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। এ ছাড়াও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘অহিংস পরম ধর্ম’—বুদ্ধের এই অমিয় বাণী আজও সমাজে শান্তির জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। আজকের এই অশান্ত ও অসহিষ্ণু বিশ্বে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, ধর্ম-বর্ণ-জাতিগত হানাহানি রোধসহ সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় মহামতি বুদ্ধের দর্শন ও জীবনাদর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আমি মনে করি।’

প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, ‘হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরাও যুগ যুগ ধরে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।’

গৌতম বুদ্ধের শুভজন্ম, বোধিজ্ঞান ও নির্বাণ লাভ এই ত্রিস্মৃতিবিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর কাছে এটি বুদ্ধ পূর্ণিমা নামে পরিচিত।

বৌদ্ধ ধর্মমতে, আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বুদ্ধ আবির্ভূত হয়েছিলেন। তার জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপ্রয়াণ বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে এর (বৈশাখী পূর্ণিমা) অন্য নাম দেওয়া হয় ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’।

‘জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’ এই অহিংস বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের আবির্ভাব, বোধিপ্রাপ্তি আর মহাপরিনির্বাণ—স্মৃতিবিজড়িত এই দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে পালন করেন বুদ্ধ ভক্তরা।

উৎসব উপলক্ষে বাসাবো ধর্মরাজিক বৌদ্ধবিহার সাজানো হয়েছে। বুধবার উৎসবের সার্বিক প্রস্তুতি দেখা গেছে। এ ছাড়া রাজধানীর মেরুল বাড্ডা বৌদ্ধবিহারেও অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনের ক্রিডেনশিয়াল হলে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *