তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৬-০ গোলে জয়ের বিপরীতে সিঙ্গাপুর জিতেছিল ৭-০ গোলে। মাঠের লড়াই শুরুর আগে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ে স্বাগতিকদের প্রচ্ছন্ন হুমকিকে অবশ্য পাত্তা দেয়নি লাল-সবুজরা। সিঙ্গাপুরকে হারিয়ে মাঠের লড়াইয়েও সেটা প্রমাণ করল বাংলাদেশ।
ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ দলকে সমীহ করলেও বাংলাদেশের প্রধান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন বলেছিলেন, ‘আমরা প্রতিপক্ষ নয়, নিজেদের নিয়ে ভাবছি। স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারলে দল দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পাবে।’ গতকাল কিক-অফের পর থেকে বাংলাদেশকে দেখা গেল চেনা ছন্দে। এ জয়ে বাছাইয়ে প্রথম পর্বে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরের রাউন্ডের টিকিট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। প্রথম রাউন্ডের আট গ্রুপের সেরা দলগুলো পরের রাউন্ডে লড়বে। আট দলকে দুই গ্রুপে বিভক্ত করে এ রাউন্ডের লড়াই হবে। দুই গ্রুপের শীর্ষ দুই দলের সঙ্গী হয়ে পরের চূড়ান্ত পর্বের টিকিট পাবে বেস্ট-রানার্সআপ দুই দলও। দ্বিতীয় রাউন্ডের পরীক্ষায় পাস করতে পারলে ২০০৫, ২০১৭ ও ২০১৯ সালের পর চতুর্থবারের মতো এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ খেলবে বাংলাদেশ। বাছাইয়ের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশের সঙ্গী হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ডের মতো এশিয়ান পরাশক্তিরা; ২০১৭ ও ২০১৯ সালে মূল পর্বে দেশগুলোর সঙ্গী হয়েছিল বাংলাদেশ।
গতকাল কিক-অফের পর থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে বাংলাদেশ। একের পর এক আক্রমণ গড়লেও সুফল তুলতে পারছিল না গোলাম রাব্বানী ছোটনের দল। বাংলাদেশের আক্রমণ শামাল দিতে পুরো রক্ষণাত্মক কৌশল নিয়েছিল সিঙ্গাপুর। সে কৌশলটাই কাল হয়ে দাঁড়ায়! ম্যাচের ২১ মিনিটে সুরভী আকন্দ প্রীতিকে বক্সে ট্যাকল করে পেনাল্টির বিপদ ডেকে আনে স্বাগতিক সিঙ্গাপুর। স্পট-কিক থেকে গোল করে লাল-সবুজদের এগিয়ে দেন সুরভী আকন্দ প্রীতি (১-০)। ১-০ গোলের লিড ধরে রেখে মাঝ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।