ভোলায় একের পর এক জ্বালানি গ্যাস কূপের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ভোলার ইলিশা-১ নামে নতুন একটি কূপ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু করেছে বাপেক্স। এ নিয়ে জেলার মোট ৯টি কূপে গ্যাসের সন্ধান পেল বাপেক্স।
সম্প্রতি আগুন জ্বালিয়ে এ গ্যাস উত্তোলন শুরু করে বাপেক্স। প্রতিদিন এই গ্যাস কূপ থেকে ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে আশা করা করছে সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে জ্বালানি সংকট দূর করার লক্ষ্যে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদনে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালেরহাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কুপ এ বাপেক্স খনন শুরু করে।
বাপেক্সের নকশা ও লোকেশন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গ্যাসপ্রম কূপ খনন কাজ পরিচালনা করছে। তিন হাজার ৪৩৬ মিটার গভীরতায় তিনটি স্তরে ডিএসটি (ড্রিল স্টেম স্টেট) মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয়েছে। এরপর শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের উপস্থিতি তারা নিশ্চিত করা হয়।
বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে দৈনিক এই কূপে ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে। এটা একটা স্তরে। আরও দুটি স্তরে পরীক্ষা করা হবে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ১৮০ থেকে ২২০ বিসিএফ ঘনফুট গ্যাসের মজুদ রয়েছে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে সময় লাগবে আরও বেশ কিছুদিন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করবেন বলে জানিয়েছেন বাপেক্স।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভোলায় ইলিশা-১ গ্যাসক্ষেত্রে এর আগে ১৯৯৩ থেকে ৯৪ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনে শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রে আবিষ্কারের পর একে একে সদর ও বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শাহবাজপুর ও ভোলা নর্থ নামের আলাদা দুটি গ্যাসক্ষেত্রে আটটি কূপ খনন করা হয়। এসব কূপে মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ এক দশমিক সাত টিসিএফ ঘনফুট বলে জানা গেছে।
গ্যাসের সম্ভাবনা যাচাই করতে আগামী অক্টোবর থেকে নতুন করে তেল গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগ।