গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নৌকার মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে সশরীরে এসে ব্যাখ্যা দিতে হবে তাকে।
রবিবার আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
ইতোমধ্যে সিটি নির্বাচনকে ঘিরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে সতর্ক করা হয়েছে। এরপরেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীকে কারণ দর্শাতে বলা হচ্ছে।গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ মে। এরপর ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল সিটিতে এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটিতে ভোট হবে।
পাঁচ সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি প্রতিপালনের অনুরোধ জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্পিকারকেও অনুরোধ জানাবে নির্বাচন কমিশন।
সকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা বসে কারণ দর্শানো নোটিশ ও ইসির নির্দশনাসহ চিঠি পাঠানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, এসব এলাকায় আচরণবিধি না মানার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন গণশাধ্যম ও বিভিন্ন সূত্রে তথ্য এসেছে। ইসি থেকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও প্রার্থী ও তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এজন্য আমরা কমিশন বসেছি। আলোচনা করে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
গাজীপুরের আওয়ামী লীগ প্রার্থী গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের মধ্যে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রার্থীকে ইসির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে আজমত উল্লা সাহেবকে। তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে এবং কমিশনে এসে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য বলা হবে। একই সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যারা সরকারে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে আচরণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ থাকে। তাদের কাছে দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি বেশি, সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকারি দলের দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি-মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে পত্র দেব। যেন যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিয়ে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য তাদের যেন অনুরোধ রাখেন আচরণবিধি যেন লঙ্ঘন না করে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কাছেও দলীয় সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা জানাতে অনুরোধ করবে ইসি।
ইসি মো. আলমগীর বলেন, “অনেক দল রয়েছে। সরকারি দল যেহেতু এ বিষয়ে আন্তরিক। তাদেরকে চিঠি দিয়ে অনুরাধ করবো। দলের সাধারণ সম্পাদককে অনুরোধ করবো যেন তাদের দলীয় সংসদ সদস্যদের আচরণবিধি মেনে চলে সে ব্যবস্থা নেন।”
একইভাবে সংসদ সদস্যদের বিষয়ে আচরণবিধি প্রতিপালনের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে স্পিকারের কাছেও চিঠি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান এই কর্মকর্তারা।
শিগগির এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হবে বলে জানান ইসি মো. আলমগীর।