পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ

পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ

বাংলাদেশ

আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতিকে স্বাগত জানিয়েছে। নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরে গত ১৭ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ২২তম অধিবেশনের প্রতিবেদনে এমন পর্যবেক্ষণ করেছে ফোরামটি।

এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস। এতে বলা হয়, অধিবেশন চলাকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ফোরামের বিভিন্ন সভায় তাদের দেওয়া বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকারের অর্জনগুলোকে তুলে ধরে।

এই ফোরামের বিভিন্ন সভায় অংশ নেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্বকারী সুশীল সমাজের সদস্য এবং অন্যান্য ব্যক্তিরাও। অধিবেশন শেষে ফোরামটি এ চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের উপস্থাপিত তথ্যগুলোকে স্বাগত জানায়। একই সঙ্গে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশকে আরও জোর প্রচেষ্টা চালানোর অনুরোধ করেন।বাংলাদেশ সরকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ তার সকল জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত এই ফোরামের বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের কার্যকর অংশগ্রহণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে গৃহীত আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার অবিচ্ছেদ্য অংশ। চুক্তিটির বাস্তবায়নে সরকারের প্রচেষ্টা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনে দৃশ্যমান পরিবর্তন এনেছে এবং এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

প্রতিনিধি দলটি ফোরামের বিভিন্ন সভায় বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং সংশ্লিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পাশাপাশি তাদের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, ভাষা ও বৈচিত্র্য রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের একটি কার্যকরী কমিশন হলো আদিবাসী সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্থায়ী ফোরাম। যা বিশ্বব্যাপী আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *