পাটুরিয়া ঘাটে সকালে যানবাহনের চাপ থাকলেও দুপুর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক

পাটুরিয়া ঘাটে সকালে যানবাহনের চাপ থাকলেও দুপুর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক

বাংলাদেশ
ঈদযাত্রায় মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় আজ বুধবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত ছোট গাড়ির চাপ ছিল। তবে সকালের পর থেকে এই চিত্র যায় পাল্টে। যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা কমে আসে। পাটুরিয়া লঞ্চঘাটেও একই পরিস্থিতি দেখা গেছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদযাত্রা শুরু হলেও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথের যাত্রীবাহী বাস ও যাত্রীদের চাপ অনেকটা স্বাভাবিক আছে। আজ ভোরে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় ছোট গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এসব গাড়ির মধ্যে ছিল প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, জিপ, মোটরসাইকেল ও ছোট মালবাহী পিকআপ। গাড়িগুলোকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিবালয় উপজেলার টেপড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে টেপড়া-নালী সড়ক হয়ে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটে চলাচল করতে সহযোগিতা করে দায়িত্বরত পুলিশ। এর পর এসব গাড়ি ফেরিতে পদ্মা নদী পার হয়ে দৌলতদিয়া প্রান্তে যাচ্ছে।

আজ সকালে পাটুরিয়ায় যাত্রীবাহী বাসের চাপ খুব বেশি ছিল না। ঘাট এলাকায় যানবাহনগুলোকে ফেরির জন্য অপেক্ষা করতে হয়নি। ২, ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রীবাহী বাসগুলো পারাপার করা হচ্ছিল। এ ছাড়া পাটুরিয়ায় সাধারণ পণ্যবাহী গাড়িও কম আছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আবদুস সাত্তার বলেন, সাহ্‌রি শেষে ভোরে অনেকে ঈদযাত্রায় বাড়ির দিকে রওনা হন। এ কারণে আজ ভোর থেকে পাটুরিয়ায় ব্যক্তিগত বিভিন্ন গাড়ির চাপ ছিল। তবে পর্যাপ্তসংখ্যক ফেরি থাকায় ভোগান্তি ছাড়াই এসব গাড়ির আরোহী ও যাত্রীরা নৌপথ পারাপার হন। তবে সকালের পর থেকে ঘাট এলাকায় পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক হয়ে আসে।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, এবার ঈদযাত্রায় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২০টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে সাতটি ফেরি বরাদ্দ আছে। বর্তমানে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ১৮টি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ছয়টি ফেরি চলাচল করছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটা থেকে আজ বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ২৩৮টি যাত্রীবাহী বাস, ৫১৪টি ছোট গাড়ি, ৫২২টি ট্রাক এবং ৬০০টি মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে।পাটুরিয়া ঘাটে ভোর থেকে সকালে ছোট গাড়ির চাপ থাকলেও দুপুরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। সকাল ১০টার দিকে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাট এলাকায়।

আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় অবস্থান করে দেখা গেছে, পুলিশের সদস্যরা গাড়িগুলোকে সারিবদ্ধভাবে রাখতে সহায়তা করছেন। বেলা ১১টার দিকে ৩ নম্বর ঘাট এলাকায় ৩০ থেকে ৩৫টি যাত্রীবাহী বাস এবং ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় অর্ধশত ব্যক্তিগত গাড়ি লাইনে ছিল।লঞ্চঘাটেও যাত্রীর চাপ কম আছে। ঘাটে এসে বাস থেকে নামার পর যাত্রীরা সহজেই লঞ্চে উঠে নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন। লঞ্চঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইনচার্জ) পান্না লাল নন্দী বলেন, ঈদযাত্রায় এখনো যাত্রীর চাপ পড়েনি। পোশাক কারখানা ছুটির পর থেকে লঞ্চের যাত্রীর চাপ বেড়ে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *