ঈদের আগে দুই মামলার উত্তাপ ঢালিউডে

ঈদের আগে দুই মামলার উত্তাপ ঢালিউডে

বিনোদন

পাল্টাপাল্টি মামলার উত্তাপে আবারও গরম হয়ে উঠেছে ঢালিউড। কিছুদিন আগে শাকিব খানের বিরুদ্ধে অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, শুটিংয়ে সময় না দেওয়া ও নারী প্রযোজককে ধর্ষণের মতো অভিযোগ এনেছিলেন অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ সিনেমার প্রযোজক রহমত উল্লাহ। এরপর রহমত উল্লাহকে ভুয়া প্রযোজক ও বাটপাড় অবিহিত করেন শাকিব।

রহমত উল্লাহর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেন তিনি। প্রযোজক রহমত উল্লাহ তখন অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত যাওয়ায় সেখান থেকে জানিয়েছিলেন শিগগিরই এ বিষয়ে আইনি প্রদক্ষেপ নেবেন। এবার নায়ক শাকিব খানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ।

১৩ এপ্রিল ঢাকার সিএমএম কোর্টে মো. রশিদুল আলমের আদালতে শাকিব খানের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৯৯/৫০০/৫০১ ধারায় মানহানি মামলা করেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ। মামলা নং: সিআর: ২৪৯/২৩ (রমনা)।

মামলাটির তদন্ত করার জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক রহমত উল্লাহ ও তাঁর আইনজীবী ড. মো. তবারক হোসেন ভূঞা। নির্মিতব্য ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ (২০১৭) সিনেমায় অসদাচরণ, মিথ্যা আশ্বাস, ধর্ষণ (মামলা নং: ৬২৪৯৪৯৫৯) এবং পেশাগত অবহেলার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির ক্ষতিসাধন, চলচ্চিত্রের শুটিং সম্পন্ন করতে অথবা লগ্নিকৃত অর্থ ফিরিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে অভিযোগ করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন রহমত উল্লাহ।

অন্যদিকে, ১ এপ্রিল রিয়াজের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ তুলেছিলেন হারুনুর রশীদ কাজল (জ্যাম্বস্‌ কাজল) নামের এক পরিচালক। সে সময় রিয়াজ জানিয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনা যাবতীয় অভিযোগ আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন। তাই ১৬ এপ্রিল পরিচালক জ্যাম্বস্ কাজলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮-এর ২৫ ও ২৯ ধারায় সাইবার ট্রাইব্যুনালে ঢাকায় মামলা করেছেন রিয়াজ, যার পিটিশন মামলা নং ১৬৭/২০২৩।

মামলার প্রসঙ্গে রিয়াজ বলেন, ‘দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আইনের আশ্রয় নেওয়া আমার অধিকার। এ জন্য আমি সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মামলা করেছি। বিজ্ঞ আদালত আমার মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছেন। আইনের প্রতি আমি আস্থাশীল। সত্য মিথ্যে কোনটি কী আদালত রায় দেবেন।’এ প্রসঙ্গে রিয়াজ আরও বলেন, ‘এফডিসির মতো জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি হঠাৎ কোনো পরিচালক আমার নামে প্রতারণার অভিযোগ করেন, তা কোনোভাবে কাম্য নয়। আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করেছি। আমার আইনজীবী আরও দুটো মানহানির মামলার পরামর্শ দিয়েছেন।’

রিয়াজ বাদী হয়ে করা মামলায় উল্লেখ করেছেন, আসামি হারুন অর শরীদ ওরফে জ্যাম্বস্ কাজল গত ৩১ মার্চ তাঁর বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট দিয়ে সামাজিকভাবে হেয়, হেনস্তা ও হীন উদ্দেশ্যে মিথ্যে মানহানিকর বক্তব্য দিয়ে একটি পোস্ট দেন। এ ছাড়া, ১ এপ্রিলে এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করে রিয়াজের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন হারুনুর রশীদ কাজল (জ্যাম্বস্ কাজল)।

মামলাটি আদালত গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। তদন্ত সাপেক্ষে আগামী ১৩ জুলাই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *